নয়া দিল্লি: মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা বা জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখবেন তিনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সভায় যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মহম্মদ ইউনূসও (Mohammed Yunus)। বাংলাদেশের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য, কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মহম্মদ ইউনূসের দেখা করার আবেদন জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নয়া সমীকরণ গড়তে আগ্রূহ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সূত্রের খবর, ইউনূসের সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেও, সেই তালিকায় মহম্মদ ইউনূসের নাম নেই বলেই জানা গিয়েছে।
সরকারি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর তিনদিনের সফরে আগে থেকেই যাবতীয় কর্মসূচি স্থির থাকার কারণেই নতুন করে আর মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সময় বের করা যায়নি। সেই কারণেই বাংলাদেশের আর্জি ফেরাতে হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নজরে রেখে এই বৈঠকের আবেদন ও তা খারিজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। বাংলাদেশে গত ৫ অগস্ট আওয়ামি লীগের সরকারের পতন হয়। বাধ্য হয়েই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। এখনও তিনি ভারতেই রয়েছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার চাপ তৈরি করছে হাসিনাকে ফেরানোর জন্য। সম্প্রতিই শোনা গিয়েছিল, প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য আবেদন করবে বাংলাদেশ। ওপার বাংলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের জন্যও এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, হাসিনা সরকার পতনের পরই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে যে হামলা-আক্রমণ চলছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদীও মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।