Bangladesh News: ‘চারদিনে কলকাতা দখল হবে’, এদিকে ভারতের ২০০ কোটি টাকা মেটাতে হিমশিম অবস্থা বাংলাদেশের

Bangladesh News: মানিক সাহা জানান, 'ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ বাংলাদেশের থেকে ২০০ কোটি টাকা পায় ত্রিপুরা। কিন্তু এখনও একটা পয়সাও ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ।'

Bangladesh News: 'চারদিনে কলকাতা দখল হবে', এদিকে ভারতের ২০০ কোটি টাকা মেটাতে হিমশিম অবস্থা বাংলাদেশের
মহম্মদ ইউনূসImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Dec 23, 2024 | 6:46 PM

ত্রিপুরা: গণঅভ্যুত্থান, পালাবদল! অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরেও কাটেনি বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতি। উল্টে সন্ত্রাস, মৌলবাদ মিলে পদ্মা পাড়ে তৈরি করেছে নৈরাজ্য। যার জেরে প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানি’ অবস্থা বাংলাদেশের, এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল। এই অবস্থায় ভারতকে নাকি ফেরত হবে ২০০ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন বাড়ছে সেই টাকার পরিমাণ।

এদিন পড়শি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, ‘বিদ্যুৎ খরচ বাবদ বাংলাদেশের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা পায় তাদের রাজ্য। যার একটা পয়সাও এখনও দেয়নি ইউনূস সরকার।’ ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাক্ষর হওয়া চুক্তি ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে ভারতের এই রাজ্য। যার খরচ বাবদ পদ্মা পাড়ের দেশের থেকে কোটি কোটি টাকা পায় ত্রিপুরা।

এই প্রসঙ্গেই এদিন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা জানান, ‘ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ বাংলাদেশের থেকে ২০০ কোটি টাকা পায় ত্রিপুরা। কিন্তু এখনও একটা পয়সাও ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ। আমরা আশা রাখি, বিদ্যুৎ পরিষেবা অব্যাহত রাখতে তারা হয়তো সব পাওনাই সময় মতো মিটিয়ে দেবে তারা।’ অবশ্য, ঢাকা যদি পাওনা মেটাতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে কি না, এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ত্রিপুরা সরকার।

এই খবরটিও পড়ুন

তিনি আরও জানান, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির জন্য প্র্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ত্রিপুরা বাংলাদেশের বন্দর হয়েই এনেছিল, সেই সৌজন্যের খাতিরেই এখনও বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই সুবিধা তারা কত ক্ষণ পাবে সেই নিয়ে কোনও সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।’

তবে এত অশান্তি, আর্থিক দুরাবস্থার মাঝেও বড় বড় কথা থামছে না বাংলাদেশের। আদ্যপান্ত ভারত নির্ভরশীল হয়েও বাংলাদেশের অন্দরে নির্দ্বিধায় চলছে ভারতবিরোধি কার্যকলাপ। এদিকে তার বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপই নিচ্ছে না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।