নিউ ইয়র্ক : ওমিক্রনের প্রভাব কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সেই সঙ্গে একধাক্কায় অনকেটাই নেমেছে করোনা সংক্রমণের হার। বিশ্বের সব প্রান্তেই তাই কিছুটা স্বস্তির ছবি ধরা পড়েছে। করোনা বিধির কড়াকড়িও কমে গিয়েছে। কিন্তু মাস কয়েক যেতে না যেতেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। চিনে ইতিমধ্যেই লকডাউন জারি হয়েছে শেনজেন শহরে। আর এবার আতঙ্ক ফিরছে মার্কিন মুলুকে। নর্দমার জলে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালিয়ে কোভিডের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিডিসি নামে এক সংস্থা। আর সেই জলেই নতুন করে মিলছে ভাইরাসের নমুনা। সম্প্রতি যত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
সিডিসি-র কর্ণধার অ্যামি কিরবি জানিয়েছেন, বর্তমানে নর্দমার যে পরিমান জল দেখা যাচ্ছে, সেই তুলনায় সংক্রমণের হার বেশি। তবে এগুলো কি নতুন সংক্রমণ নাকি পুরনো ঢেউয়ের কিছু ভাইরাসের উপস্থিতি রয়ে গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষ কোনও কোনও অঞ্চলে সংক্রমণের নমুনা বেশি বলেও জানা গিয়েছে। যে সব এলাকা থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে তার ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে সংক্রমণ কমে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে, আর ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় বেশিরভাগ অফিসেই কর্মীর উপস্থিতি বেড়েছে। মাস্ক পরার প্রবণতাও কমেছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া অধিক সময় বাড়ির বাইরে থাকছেন সাধারণ মানুষ। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিকে, চিনের দক্ষিণ দিকে প্রযুক্তি হাব হিসেবে পরিচিত শেনজেন শহরে নতুন করে লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। আর সেই লকডাউনের জেরে চিনের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। চিনের মোট জিডিপির ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। শেনজেনের প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।