ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) কি সত্যিই সমস্যায় রয়েছেন? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ঘোরতর সঙ্কটে রয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister)। অবস্থা এমনই যে পাকিস্তানের মসনদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন ইমরান খান। পাকিস্তানের সংসদে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই। তাঁর প্রধান তিন জোটসঙ্গী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। এমনকী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইমরানের জোটসঙ্গী দলের এক নেতা এমনটাই জানিয়েছেন। এই রকম হলে চলতি মাসের শেষ দিকে সংসদে অনাস্থা ভোট হতে পারে। চৌধুরি পারভেড ইলাহির পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়েদ পার্টি ইমরান খানের গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী। পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে ৫ সদস্য নিয়ে ইমরান খান সরকারের ওপর তাঁর সমর্থন রয়েছে। সেই সমর্থন তুলে নিলেই বিপাকে পড়তে পারেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা।
মঙ্গলবার সন্ধে বেলা পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম হাম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলাহি বলেন, “পরিস্থিতি যা তাতে সবকিছুই ইমরান খানের ওপর নির্ভর করছে। ইমরান খানের উচিৎ সব জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলে জোট সরকারে থাকার অনুরোধ করার। এটাও যদি না হয়, তবে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত তিনি সমস্যায় পড়বেন।” ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জাতীয় সংসদের অধ্যক্ষকে ইমারান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, ইমরান খানের আমলে পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়েছে এবং বিদেশ নীতিতে ইমরান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রী মনে করছেন চলতি মাসের শেষ দিকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে।
ইলাহি জানিয়েছেন, তাঁর দল, বালোচিস্তান আওয়ামি পার্টির ৫ জন সদস্য এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের ৭ সংসদ সদস্য দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন যে পাকিস্তানের সরকারকে সমর্থন করা উচিৎ কি না। সংসেদ বিরোধী দলের থেকে ইমরান খানের সরকার মাত্র ৭ টি আসনের বিচার সংখ্যা গরিষ্ঠ রয়েছে। এই তিনটি দলের আসন সংখ্যা ১৭। তাই এই তিনটি দল সরকারে ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিলে সত্যিই সমস্যায় পড়বেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের কাছেও এই ইঙ্গিত রয়েছে। প্রকারান্তরে তিনি দেশের বিরোধী দলগুলিকে এই কাজের জন্য দায়ী করেছেন। সম্প্রতি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের হাফিজাবাদে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “টাকা ব্যবহার করে যারা সংসদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে এবং আমার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াবে দেশের মানুষ।” এখন পাক প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকার বাঁচাতে পারবেন কি না সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।