রাখাইন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’-র (Cyclone Mokha) তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজার ও মায়ানমারের (Myanmar) সিতাওয়ে উপকূল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিতওয়ে উপকূল। মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক ঘর-বাড়ি। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সড়ক, বিদ্যুতের লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে অবশ্য উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
মায়ানমারে ধ্বংসলীলা সম্পর্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ানমারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’-র তাণ্ডবে শত শত লোকের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু রোহিঙ্গা শিবির ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে মায়ানমারের সিতওয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা। প্রবল হাওয়ার সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। এই ঘূর্ণিঝড় এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে জানিয়েছে মায়ানমার সরকার। মোখা-র তাণ্ডবে কেবল সিতওয়ে এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গার এক কর্মী ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপদেষ্টা। এছাড়া বহু ঘর ভেঙে পড়েছে। ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। তাসের ঘরের মতো বিল্ডিং ভেঙে পড়ার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন তিনি।
যদিও ‘মোখা’-র তাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষা করতে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের অন্যত্র নিরাপদ এলাকায় আগেই সরিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু, তারপরেও শেষ রক্ষা হল না। কেবল মায়ানমারে কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাসকারী সিতওয়ে শহরের সঙ্গে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন। তবে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ পুনরায় চালু করার চেষ্টা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।