Fire: টেবিলে-সিড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহ, তদন্তে উঠে এল ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ভয়ঙ্কর কারণ

Dhaka Fire: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Fire: টেবিলে-সিড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহ, তদন্তে উঠে এল ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ভয়ঙ্কর কারণ
ঢাকায় পুড়ে যাওয়া বহুতল।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2024 | 4:59 PM

ঢাকা: বিরিয়ানি খেতে দিনে-রাতে ভিড় জমান শয়ে শয়ে মানুষ। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই গোটা বিল্ডিং। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও প্রায় ৫০ জন। এদের অধিকাংশেরই অবস্থা সঙ্কটজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

২৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। বেইলি রোড ঢাকার অত্যন্ত পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট সহ শপিংমল রয়েছে। পুড়ে যাওয়া ভবনটির অধিকাংশ তলেই ছিল রেস্টুরেন্ট। এর মধ্যে কাচ্চি ভাই, পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন সহ একাধিক রেস্তোরাঁ ছিল। সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলে ‘কাচ্চি ভাই’ নামের বিরিয়ানির দোকান, বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই আগুন লাগে। পুড়ে মৃত্যু হয় ৪৬ জনের।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সেলি জানিয়েছেনন, বেইলি রোডের যে বহুতল ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে, সেই ভবনটিতে ব্যাপক অব্যবস্থা ছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্তে সেই তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “বেইলি রোডের ওই বহুতল ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ধোঁয়ার কারণেই দমবন্ধ হয়েই বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না। পার্কিং ব্যবস্থাও  ছিল না। পায়ে হাঁটা সিড়িও অত্যন্ত সরু ছিল। অধিকাংশ মানুষই নামতে না পেরে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।”

শুক্রবার সকাল থেকেই মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।