Christmas: খ্রিস্টমাস পালন করলেই দিতে হবে ‘ফি’, আবদার করে বসেছিল এই পরিবার!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 26, 2024 | 3:00 PM

Christmas Celebration: বড়দিন মানে অন্যের পাশে থাকা, গরিব মানুষকে সাহায্য করা, সবাইকে উত্‍সবের আনন্দে সামিল করা। সঙ্গে এলাহি খাওয়া-দাওয়া, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া - একেবারে বাঙালির দুর্গাপুজোর মতো।

Follow Us

শীতের পরশ ছাড়াই এবারের বড়দিনটা কাটল। সেলিব্রেশনে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। দুনিয়ার কয়েক-শো কোটি মানুষ বড়দিন সেলিব্রেট করেন। মহাকাশ থেকে গ্রীনল্যান্ড – দুনিয়ার এমন কোনও দেশ নেই যেখানে বড়দিনের উত্‍সব হয় না। এবার একটা দৃশ্য কল্পনা করুন – আপনি ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছেন, ক্রিসমাস লাঞ্চের আয়োজন করছেন বা রাতে পার্টি দিচ্ছেন আর সেজন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট টাকা গুণগার দিতে হচ্ছে। সরকারি কর নয়, ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের ফি। আর সেই ফি যাচ্ছে কোনও একটা পরিবার বা ট্রাস্টের তহবিলে।

শুনলে অসম্ভব মনে হতে পারে। তবে ঘটনার গতি একটু এদিক-ওদিক হলে সেটাই ঘটত। ক্রিসমাস সেলিব্রেশনে উপর মালিকানা চেয়ে লন্ডনের আদালতে মামলা করেছিল ব্রিটেনের এক পরিবার। বিখ্যাত চার্লস ডিকেন্সের পরিবারের করা সেই মামলার একটা দারুণ নামও রয়েছে – ক্যারল ইন দ্য কোর্টরুম। দ্য পিকইউক পেপারস, অলিভার টুইস্ট, টেল অফ টু সিটিজের মতো বিখ্যাত বইয়ের লেখক। তবে ক্রিসমাস ক্যারল ডিকেন্স যে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তা খুব লেখকের ভাগ্যেই জোটে। ক্রিসমাস ক্যারল ব্রিটিশদের কাছে, গোটা দুনিয়ার ক্রিষ্টানদের কাছে শুধু একটা বই ছিল না।  ইউরোপীয়ানদের একটা অংশ বড়দিন সেলিব্রেট করতে জানতেনই না। ব্রিটিশরাও এই বই পড়েই বুঝতে পারেন, বড়দিন মানে শুধু প্রার্থনা আর ক্রিসমাস লাঞ্চ নয়। বড়দিন মানে আরও অনেক কিছু।

উপন্যাসে আমরা জানতে পারি, বড়দিন উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের উপহার দিতে চাঁদা তুলছেন লন্ডনের কয়েকজন বাসিন্দা। বড়দিন মানে অন্যের পাশে থাকা, গরিব মানুষকে সাহায্য করা, সবাইকে উত্‍সবের আনন্দে সামিল করা। সঙ্গে এলাহি খাওয়া-দাওয়া, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া – একেবারে বাঙালির দুর্গাপুজোর মতো। অথচ ১৮৪৩ সালে ডিকেন্সের দ্য ক্রিসমাস ক্যারল প্রকাশের আগে ইউরোপীয়ান, ব্রিটিশ বা আমেরিকানরা সেটা জানতেনই না। তাঁরা শুধু প্রার্থনা বা ফ্যামিলি লাঞ্চ করেই কাটিয়ে দিতেন। তাই বোধহয় অনেক উপন্যাস কিংবা পড়ার বইতেও চার্লস ডিকেন্সকে বড়দিন সেলিব্রেশনের জনক বলা হয়। এবং এখনও সেসব স্কুলে পড়ানো হয়।

ডিকেন্সের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার হঠাত্‍ করে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়। আবেদন, ডিকেন্স যেহেতু বড়দিন সেলিব্রেশনের জনক, তাই বড়দিন থেকে রয়্যালটি ডিকেন্স পরিবারের প্রাপ্য। লন্ডনের আদালতে বেশ কিছুদিন সেই মামলা চলেছিল। আদালত ডিকেন্স পরিবারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল, ভাগ্যিস। নাহলে বড়দিনের উত্‍সবে যোগ দিলেই গ্যাঁটের টাকা খসাতে হত।

দ্য ক্রিসমাস ক্যারল প্রকাশিত হওয়ার পরেই বড়দিনে আনন্দ – ফূর্তি ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশদের দখল করা কলোনিগুলোতেও ধুমধাম করে বড়দিন পালন শুরু হয়। ইংরেজ সরকারের নিজেদের নথি বলছে, মহাবিদ্রোহের বছরে অর্থাত্‍ ১৮৫৮ সালে বড়দিনে তিন লক্ষ পাউন্ড খরচ করেছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া গর্ভমেন্ট। ১৮৫৮ সালে তিন লক্ষ পাউন্ড। এর বড় অংশ খরচ হয়েছিল ব্রিটিশ অফিসার ও কর্মীদের দামি উপহার ও বোনাস দিতে। ভারত সহ বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে লুঠের টাকা এভাবে উড়িয়ে দেওয়াটাই তখন দস্তুর।

শীতের পরশ ছাড়াই এবারের বড়দিনটা কাটল। সেলিব্রেশনে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। দুনিয়ার কয়েক-শো কোটি মানুষ বড়দিন সেলিব্রেট করেন। মহাকাশ থেকে গ্রীনল্যান্ড – দুনিয়ার এমন কোনও দেশ নেই যেখানে বড়দিনের উত্‍সব হয় না। এবার একটা দৃশ্য কল্পনা করুন – আপনি ক্রিসমাস ট্রি সাজাচ্ছেন, ক্রিসমাস লাঞ্চের আয়োজন করছেন বা রাতে পার্টি দিচ্ছেন আর সেজন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট টাকা গুণগার দিতে হচ্ছে। সরকারি কর নয়, ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের ফি। আর সেই ফি যাচ্ছে কোনও একটা পরিবার বা ট্রাস্টের তহবিলে।

শুনলে অসম্ভব মনে হতে পারে। তবে ঘটনার গতি একটু এদিক-ওদিক হলে সেটাই ঘটত। ক্রিসমাস সেলিব্রেশনে উপর মালিকানা চেয়ে লন্ডনের আদালতে মামলা করেছিল ব্রিটেনের এক পরিবার। বিখ্যাত চার্লস ডিকেন্সের পরিবারের করা সেই মামলার একটা দারুণ নামও রয়েছে – ক্যারল ইন দ্য কোর্টরুম। দ্য পিকইউক পেপারস, অলিভার টুইস্ট, টেল অফ টু সিটিজের মতো বিখ্যাত বইয়ের লেখক। তবে ক্রিসমাস ক্যারল ডিকেন্স যে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তা খুব লেখকের ভাগ্যেই জোটে। ক্রিসমাস ক্যারল ব্রিটিশদের কাছে, গোটা দুনিয়ার ক্রিষ্টানদের কাছে শুধু একটা বই ছিল না।  ইউরোপীয়ানদের একটা অংশ বড়দিন সেলিব্রেট করতে জানতেনই না। ব্রিটিশরাও এই বই পড়েই বুঝতে পারেন, বড়দিন মানে শুধু প্রার্থনা আর ক্রিসমাস লাঞ্চ নয়। বড়দিন মানে আরও অনেক কিছু।

উপন্যাসে আমরা জানতে পারি, বড়দিন উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের উপহার দিতে চাঁদা তুলছেন লন্ডনের কয়েকজন বাসিন্দা। বড়দিন মানে অন্যের পাশে থাকা, গরিব মানুষকে সাহায্য করা, সবাইকে উত্‍সবের আনন্দে সামিল করা। সঙ্গে এলাহি খাওয়া-দাওয়া, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া – একেবারে বাঙালির দুর্গাপুজোর মতো। অথচ ১৮৪৩ সালে ডিকেন্সের দ্য ক্রিসমাস ক্যারল প্রকাশের আগে ইউরোপীয়ান, ব্রিটিশ বা আমেরিকানরা সেটা জানতেনই না। তাঁরা শুধু প্রার্থনা বা ফ্যামিলি লাঞ্চ করেই কাটিয়ে দিতেন। তাই বোধহয় অনেক উপন্যাস কিংবা পড়ার বইতেও চার্লস ডিকেন্সকে বড়দিন সেলিব্রেশনের জনক বলা হয়। এবং এখনও সেসব স্কুলে পড়ানো হয়।

ডিকেন্সের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার হঠাত্‍ করে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়। আবেদন, ডিকেন্স যেহেতু বড়দিন সেলিব্রেশনের জনক, তাই বড়দিন থেকে রয়্যালটি ডিকেন্স পরিবারের প্রাপ্য। লন্ডনের আদালতে বেশ কিছুদিন সেই মামলা চলেছিল। আদালত ডিকেন্স পরিবারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল, ভাগ্যিস। নাহলে বড়দিনের উত্‍সবে যোগ দিলেই গ্যাঁটের টাকা খসাতে হত।

দ্য ক্রিসমাস ক্যারল প্রকাশিত হওয়ার পরেই বড়দিনে আনন্দ – ফূর্তি ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশদের দখল করা কলোনিগুলোতেও ধুমধাম করে বড়দিন পালন শুরু হয়। ইংরেজ সরকারের নিজেদের নথি বলছে, মহাবিদ্রোহের বছরে অর্থাত্‍ ১৮৫৮ সালে বড়দিনে তিন লক্ষ পাউন্ড খরচ করেছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া গর্ভমেন্ট। ১৮৫৮ সালে তিন লক্ষ পাউন্ড। এর বড় অংশ খরচ হয়েছিল ব্রিটিশ অফিসার ও কর্মীদের দামি উপহার ও বোনাস দিতে। ভারত সহ বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে লুঠের টাকা এভাবে উড়িয়ে দেওয়াটাই তখন দস্তুর।

Next Article
Guns And Ammunition Law: আজব আইন! বাড়িতে বন্দুক না থাকলে পুলিশ এসে ধরবে
Mute Christmas: আনন্দে মেতে গোটা দুনিয়া, ‘মিউট খ্রিস্টমাস’ কাটাল যীশুর জন্মস্থান!