গাজা: গোটা দুনিয়ায় তুমুল সেলিব্রেশন। তারই মধ্যে ছোট্ট একটা ভূখণ্ডে একটু অন্যরকম উত্সব। এই নিয়ে পরপর দু-বছর অন্যরকম খ্রীস্টমাস কাটাল বেথলেহেম। চার্চ অফ নেটিভিটিতে ক্রিসমাস ক্যারল, মিড-নাইট মাস হল। ভোরের প্রার্থনা হল। কিন্তু যীশুর জন্মদিন ঘিরে সেই চেনা উন্মাদানই উধাও।
প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের শহরটায় পর্যটকদের ঢল নামে। দোকানে, দোকানে ভিড় উপচে পড়ে। ভিড়ের বদলে সেইসব দোকানে ঝুলছে নো টুরিস্ট, নো খ্রিস্টমাস ব্যানার। অর্থাত্ এখানে পর্যটকরা নেই, আমাদের বড়দিনও নেই।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারপর দু-দুটো খ্রিস্টমাস কেটে গেল। যীশুর জন্মস্থানে বড়দিনের সেই চেনা ছবিটা আর ফিরল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় একটা নতুন শব্দবন্ধ, “মিউট ক্রিসমাস” বা নিঃশব্দ বড়দিন। গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের পাশাপাশি সিরিয়া, লেবানন, ইজরায়েলের একটা অংশও মিউট ক্রিসমাস কাটালো।
ইউরোপ থেকে আমেরিকা – দুনিয়ার বড় দেশেই বড়দিন সেলিব্রেশনের ট্রেন্ডটা বদলে যাচ্ছে। ইউরোপ বা আমেরিকার একটা বড় অংশের মানুষ এখন আর বড়দিনে আগের মতো খরচ করতে আগ্রহী নন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা। এবার বড়দিন তাঁরা তেমন একটা খরচ করেননি বলেই চলে। ইউরোপীয়ান কনজিউমার ইনডেক্স অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ভারতের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। চলতি বছরেও সিংহভাগ মানুষ উত্সবের মরশুমেই কেনাকাটা করেছেন এবং এখনও করছেন। বাঙালির দুর্গাপুজোর বহর কত বড়, এই সময় কত টাকার কেনাকাটা হয়, সেসব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধু উত্সবের নিরিখেই একা দুর্গাপুজো গোটা ইউরোপ আর আমেরিকাকে পাঁচ গোল দিতে পারে। উত্সবের মরশুমে গড়পরতা বাঙালি মাথাপিছু যা খরচ করেন, বড়দিনে ইউরোপীয়ান বা আমেরিকানরা খরচ করেন তার থেকে অনেক কম। গোটা দেশের কথা না হয় বাদ-ই দেওয়া হল।