Tulsi Gabbard: গীতায় হাত রেখে শপথ পাঠ, ট্রাম্পের গোয়েন্দা প্রধান মোদীরও বন্ধু! আসলে কে এই তুলসী গ্যাবার্ড?
Tulsi Gabbard: খবর সত্যি হলে গ্যাবার্ড হোয়াইট হাউসের প্রধান গোয়েন্দা উপদেষ্টা হিসেবে, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফের সাথে কাজ করবেন।
একদা ছিলেন আমেরিকান কংগ্রেসের একমাত্র হিন্দু ডেমোক্র্যাট সদস্য, এখন তিনি প্রাক্তন। বুধবার সেই তুলসী গ্যাবার্ডকেই ডিরেক্টর অব ন্যাশানাল ইনটেলিজেন্স বা গোয়েন্দা বিভাগের অধিকর্তা হিসাবে নিয়োগ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক সদস্য গ্যাবার্ড, একসময়ে কর্মরতা ছিলেন আর্মি রিজার্ভের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে। ইরাকে যুদ্ধের বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে তুলসীর কাছে। বাইডেন সরকারের বিদেশ নীতি এবং বর্ণ বিদ্বেষ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই ২০২২ সালে দল ছাড়েন তিনি। এবার ট্রাম্প মসনদে ফিরতেই গদি পেলেন তিনিও।
ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার সময় গ্যাবার্ডের ‘নির্ভয় মনোভাব’, গোয়েন্দা সংস্থাগুলিতে অবদান, এবং ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিতে জোর দেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে রিপাবলিকান পার্টিতে গ্যাবার্ডের যোগদান করার বিষয়টি নিয়েও তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বের কারণেই এবং তিনি জনগণের এবং শান্তির পার্টি রিপাবলিকানে যোগ দিয়েছেন।”
রজার স্টোন, ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী যিনি প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি তাঁর এক্স মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। এই বিবৃতি সরাসরি ট্রাম্পের কাছ থেকে এসেছে বলে দাবি তাঁর।
এই খবর সত্যি হলে গ্যাবার্ড হোয়াইট হাউসের প্রধান গোয়েন্দা উপদেষ্টা হিসেবে, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফের সাথে কাজ করবেন। ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালনা করার সঙ্গেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা এবং প্রতিদিন সকালে প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ দেওয়া তাঁর কাজের অংশ হবে।
মোদী যোগ –
৪৩ বছরের গ্যাবার্ড আমেরিকান সামোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তুলসী বড় হয়ে ওঠে মূলত হাওয়াই এবং অল্প সময়ের জন্য ফিলিপাইনে। হাওয়াইয়ের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২১ বছর বয়সে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু।
হাউসের প্রথম হিন্দু সদস্য হিসাবে, তুলসী ‘ভগবদগীতা’কে স্বাক্ষী রেখে শপথ গ্রহণ করেন। নিজের চারবারের মেয়াদেই, দলের নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১৬ সালে সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের সময় জাতীয় রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে ওঠে তুলসী গ্যাবার্ড। হিন্দু শাস্ত্রে বিশ্বাসী তুলসী নরেন্দ্র মোদীকে গীতা উপহার দিয়েও খবরে আসেন।
তুলসীর স্বামী সিনেমাটোগ্রাফার আব্রাহাম উইলিয়ামস এবং বাবা মাইক গ্যাবার্ডও, স্টেট সিনেটর। যাঁরা রিপাবলিকান থেকে ডেমোক্র্যাটে রূপান্তরিত হয়েছেন।
দল পরিবর্তন –
২০২০ সালে ডেমোক্র্যাটিকের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আমেরিকার সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন। মার্কিন মুলুকের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সংঘাত কী ভাবে আমেরিকার নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করেছে তাও তিনি তুলে ধরেন। তখনকার সিনেটর কমলা হ্যারিসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
এর পরেই জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে ডেমোক্রাটিক পার্টি থেকে ইস্তফা দেন তুলসী। পার্টি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আজকের ডেমোক্র্যাট পার্টি চেনা যায় না, ২০ বছর আগে যে পার্টিতে আমি যোগ দিয়েছিলাম, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।” পরে রিপাবলিকানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফক্স নিউজে যোগ দেন তিনি এমনকি নিজের একটি পডকাস্ট চালু করেন। তিনি
ট্রাম্পের সহযোগী হয়ে ওঠা –
গ্যাবার্ড ট্রাম্পের অক্টোবরে উত্তর ক্যারোলিনা সমাবেশে প্রকাশ্যে তার রিপাবলিকান পার্টির সদস্যপদ ঘোষণা করেন এমনকি হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
সামরিক পরিষেবায় –
আর্মি ন্যাশানাল গার্ড হিসাবে তিনি ২০ বছর সামরিক চাকরি করেছেন। সেই সময়ে ইরাক এবং কুয়েতে পোস্টিং ছিল তাঁর। ২০০৫ সালে হাওয়াই ন্যাশানাল গার্ডের অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম ৩-এ তাঁর পরিষেবার কারণে কম্ব্যাট মেডিকেল ব্যাচ পান তুলসী। হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও দু’বছর দায়িত্ব পালন করেছেন গ্যাবার্ড।