টোকিও : বুধবার কেঁপে উঠল জাপানের উত্তরপূর্ব উপকূল। ভারতীয় সময় অনুযায়ী এদিন সন্ধেবেলা এবং জাপানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ একাধিক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৩। একাধিক জোরালো ভূমিকম্পের জেরে জাপানে সুনামির সম্ভাবনাও উঁকি দিয়েছে। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, ভূকম্পনের মাত্রা এতটাই প্রবল যে সেই কম্পনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের পক্ষে কঠিন। এই একই জায়গায় ২০১১ সালে সুনামি হয়েছিল। যার ফলস্বরূপ ফুকুশিমা নিউক্লিয়ার দুর্যোগ ঘটে গিয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, টোকিও এর কাছাকাছি এই ভূমিকম্পের উৎস। মিনামিসোমা, ফুকুসিমা থেকে ৩৫ মাইল দূরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিমি গভীরে অবস্থান করছে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এই প্রবল ভূমিকম্পের জেরেই জাপান জুড়ে জারি করা হয়েছে সুনামির সতর্কতা। এই ভূমিকম্পে ২ মিলিয়নেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
জাপানের পারমাণবিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা প্ল্যান্টে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। তবে ২০১১ সালে এই ফুকুশিমা প্ল্যান্ট দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছিল। সেই বছর রিখটার স্কেলে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প পূর্ব উপকূলে আঘাত করেছিল। ২০১১ সালে একটি মারাত্মক সুনামি এবং পারমাণবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছিল জাপান। বুধবার রাত ১১.৩৬ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর পরই ফুকুশিমা এবং মিয়াগি উপকূলে এক মিটার পর্যন্ত সুনামির জন্য একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, মিয়াগির ইশিনোমাকি শহরে একটি ২০ সেন্টিমিটার সুনামি তরঙ্গ রেকর্ড করা হয়েছে। টিভি ফুটেজে সেন্দাই শহরের আওবা দুর্গের একটি পাথরের প্রাচীর ধসে পড়া সহ উত্তর-পূর্বে কিছু কাঠামোগত ক্ষতি দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Covid In UK: আবার কি নতুন কোনও করোনা ভ্যারিয়েন্টের আগমন? এই দেশে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
আরও পড়ুন : India-Pakistan: পাল্টা ভারতে ‘মিসাইল হানার’ পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান? রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি