ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। ছেড়েছেন দেশ। তিনি দেশ ছাড়ার তিনদিনের মাথায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। সেই সরকার কোনও তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে বলে এবার সরব হলেন শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে একেবারে শেষ কেউ করতে পারবে না।
গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপর গত কয়েকমাসে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। তার মধ্যে গণহত্যার মামলাও রয়েছে। হাসিনা বাংলাদেশে না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার চালিয়ে যেতে চায় ইউনূস প্রশাসন।
শুধু হাসিনা নন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেও নানা মামলা হয়েছে। ইউনূস প্রশাসনের এই কয়েকমাসেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। হামলার শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন হাসিনা। এদিন ফের ইউনূস প্রশাসনকে তিনি তীব্র আক্রমণ করলেন। বললেন, হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে। গণহত্যা চালানো হচ্ছে।
নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সভায় অডিয়ো বার্তায় হাসিনা আরও বলেন, “সমন্বয়কদের কেউ বলছেন, কোনও মৃতদেহ পেলে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এর অর্থ কী? রহস্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। হত্যা মামলার তো কোনও সীমা নেই। এর সঙ্গে গ্রেফতার, নির্যাতন তো রয়েছেই।” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, যতই চেষ্টা হোক আওয়ামী লীগকে একেবারে শেষ করে দেবে, সেটা কেউ পারবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা বিশ্বাস করি, এর জবাব একদিন বাংলাদেশ দেবে। লাশের মিছিল যতই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক না কেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবেই। এ সকল অপকর্ম ও লাশের দায়ভার নৈরাজ্যবাদী ইউনূস সরকারকেই নিতে হবে এবং এসবের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।”