ওয়াশিংটন: চিন সফরে গিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেখানে গিয়ে চিনপন্থী কথা শোনা গিয়েছে ফরাসি রাষ্ট্রনেতার গলায়। এমনকি ইউরোপের দেশগুলির আমেরিকার নির্ভরতা কমানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন ম্যাক্রোঁ। বন্ধু ম্যাক্রোঁর এ ধরনের বক্তব্যে যথেষ্ট বিরক্ত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক চিন সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। ফ্রান্স চিনকে তৈলমর্দন করছে বলেও কটাক্ষ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এ নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “ম্যাক্রোঁ আমার বন্ধু ছিলেন। এখন চিনের পিছনে তৈলমর্দন করছেন। ওকে চিন। আমি ফ্রান্সকে বলব চিনে চলে যেতে।”
গত সপ্তাহে চিন সফরে গিয়ে তাইওয়ান নিয়ে ফ্রান্সের অবস্থানে বিরক্ত আমেরিকা। সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখার সময় ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, আমেরিকার উস্কানি ও চিনের প্রত্যুত্তরে তাইওয়ানে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে ইউরোপীয় দেশগুলিকে তিনি দূরে থাকতে পরামর্শ দেন। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমেরিকার উপর নির্ভরতা কমানোর বার্তাও দিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। আমেরিকা নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের পর তৃতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসার আহ্বান জানান। ম্যাক্রোঁ যখন এ রকম বিবৃতি দিচ্ছেন, তখন চিনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের মহড়া চলছে তাইওয়ান প্রণালীতে। তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন আমেরিকার সফরের পর থেকেই আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে বেজিং।
যদিও ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় হোয়াইট হাউস। ম্যাক্রোঁর বক্তব্যকে লঘু করেই দেখিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু ট্রাম্পের মোটেই ভাল লাগেনি ম্যাক্রোঁর মন্তব্য। তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্টকে।