Emmanuel Macron: বেশিদিন টিকল না ম্যাক্রঁর চওড়া হাসি, নির্বাচনে হেরে বড় ক্ষতির মুখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

Emmanuel Macron: সরকারের মুখপাত্র অলিভিয়া গ্রেগরি বলেন, "অবশ্যই অত্যন্ত দুঃখজনক ফল এটি। যা আশা করেছিলাম, তার থেকে কম ভোট পেয়েছি আমরা।"

Emmanuel Macron: বেশিদিন টিকল না ম্যাক্রঁর চওড়া হাসি, নির্বাচনে হেরে বড় ক্ষতির মুখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 7:39 PM

প্যারিস: সংসদীয় নির্বাচনে মুখ পুড়ল প্রেসিডেন্টের। নির্বাচনে হেরে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। রবিবারই ফ্রান্সের সংসদীয় নির্বাচনে তাঁর দলকে হারিয়ে দেয় সদ্য গঠিত বামপন্থী জোট। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের মাস খানেকের মধ্যেই সংসদের নির্বাচনে হার তাঁকে আরও কঠিন চ্য়ালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই নতুন জোটসঙ্গীর খোঁজ করতে বা জয়ী দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে তাঁকে।

৫৭৭ আসনের ন্য়াশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাক্রঁর জোট সরকারই সংখ্যাগরিষ্ঠতা গঠনের পথে ছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা গঠনের জন্য কমপক্ষে ২৮৯টি আসনের প্রয়োজন, সেখানেই দ্বিতীয় দফার ভোটগণনার পর ম্যাক্রঁর দল ২০০ থেকে ২৬০টি আসন পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এখনও অবধি সরকারিভাবে ফল ঘোষণা না করা হলেও, ইতিমধ্যেই হার স্বীকার করে নিয়েছেন ম্য়াক্রঁ। সরকারের মুখপাত্র অলিভিয়া গ্রেগরি বলেন, “অবশ্যই অত্যন্ত দুঃখজনক ফল এটি। যা আশা করেছিলাম, তার থেকে কম ভোট পেয়েছি আমরা।”

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলেই ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল, সেই সময় চরম ডানপন্থী প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছিলেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। দুই দশক পরে ম্যাক্রঁই প্রথম প্রেসিডেন্ট ,যিনি পরপর দুইবার নির্বাচনে জিতেছিলেন।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পেয়েই ম্যাক্রঁ করের ছাড়, অবসরের বয়স বাড়ানোর মতো একাধিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথে ছিলেন। সংসদে নির্বাচনে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা হারানোর পর তাঁর এই উদ্যোগগুলি কতটা কার্যকর হবে, তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।  একাধিক সাংসদের দাবি, অবসরের বয়স ৬৫ বছর অবধি বাড়ানোর পরিকল্পনা কোনওভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

আরও বড় একটি সমস্য়া হল, নির্বাচনে হারের পর একাধিক মন্ত্রী তাদের পদ খোয়াতে পারেন। সম্প্রতিই সংসদে এমনই একটি শপথ গ্রহণ করা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যদি মন্ত্রীরা নির্বাচনে জিততে না পারেন, তবে তাদের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।

নির্বাচনে হারের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিগিট বোরগুইনন, সামুদ্রিক মন্ত্রী জাস্টিন বেনিন,  ফ্রান্সের ইউরোপ বিভাগের মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউনি,  পরিবেশ মন্ত্রী অ্যামিলি ডে মন্টাকেলিন ইস্তফা দেন কি না, এবার তাই-ই দেখার।