গাজা: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের একমাস অতিক্রান্ত। এখনও বোমা-রকেট বর্ষণ হয়ে চলেছে গাজায় (Gaza)। যদিও প্রতিদিন সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু, এখনও ভয়াবহ পরিস্থিতি গাজার। বিশেষত, গাজার হাসপাতালগুলিতে অসহায় অবস্থা রোগীদের। অধিকাংশ হাসপাতালেই জ্বালানি প্রায় নিঃশেষ। শনিবার গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল, আল-শিফা হাসপাতালে জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। যার পরিণাম, ২ শিশুর মৃত্যু। বিপদের মুখে আরও অনেক শিশু। গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
আল-শিফা হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চিকিৎসক দল। এদিন ২ শিশুর মৃত্যুর কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ইজরায়েলি চিকিৎসকদের একটি দল বিবৃতি দিয়ে জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় নিওনেটাল ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ২টি প্রিম্যাচিওর শিশুর মৃত্যু হয়। আরও ৩৭টি শিশু বিপদের মুখে রয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং শিশুদের খুবই খারাপ অবস্থা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হু প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসুস। তিনি বলেন, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, “গাজায় এখন কোনও জায়গাই নিরাপদ নয়। কেউই নিরাপদে নেই। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।”
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জ্বালানির অভাবে গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৮টি হাসপাতাল বন্ধ হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ৮টি ও বেসরকারি ১০টি হাসপাতাল রয়েছে। আরও দুটি হাসপাতালও বন্ধের মুখে। গাজার আর একটি হাসপাতালেও চারদিনের বেশি জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। এছাড়া ৭২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি বন্ধ হয়েছে।