Pakistan Goat: হাঁটলে মাটিতে লুটিয়ে চলে কান! রাতারাতি তারকা করাচির এই ছাগলছানা

Bizarre: ৫ জুন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে জন্মেছে ওই ছাগলছানা। তার পালকের নাম মহম্মদ হাসান নাজেরো। সিম্বা নুবিয়ান প্রজাতির ছাগল।

Pakistan Goat: হাঁটলে মাটিতে লুটিয়ে চলে কান! রাতারাতি তারকা করাচির এই ছাগলছানা
লম্বা কানওয়ালা ছাগল সিম্বা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 1:23 PM

করাচি: পাকিস্তানের করাচিতে সম্প্রতি একটি ছাগলের জন্ম হয়েছে। নাম সিম্বা। সেই ছাগলছানার কানের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ ইঞ্চি (৪৬ কিলোমিটার)। অস্বাভাবিক লম্বা কান নিয়ে জন্মানো এই ছাগলছানাকে নিয়ে স্থানীয়দের উন্মাদনা চরমে। ইতিমধ্যেই তাকে দেখতে ভিড় জমান আশপাশের এলাকার মানুষ। সিম্বা যখন হাঁটে তখন তার ২টি কান মাটিতে লুটিয়ে লুটিয়ে যায়। জিনের গঠনগত ত্রুটির কারণেই এত বড় কান হয়েছে ওই ছাগলছানার। তার পালকের আশা খুব শীঘ্রই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠবে সিম্বার।

৫ জুন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে জন্মেছে ওই ছাগলছানা। তার পালকের নাম মহম্মদ হাসান নাজেরো। সিম্বা নুবিয়ান প্রজাতির ছাগল। এই প্রজাতির ছাগলের কানের আকারে অন্য প্রজাতির ছাগলের কানের থেকে বড় হয়। সাধারণত গরম আবহাওয়াতে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতেই কানের আকার বড় হয় নুবিয়ান প্রজাতির ছাগলের। কিন্তু এই প্রজাতির অন্য ছাগলদের তুলনায় সিম্বার কানের আকার অস্বাভাবিক রকমের বড়। যে এলাকায় তাঁর জন্ম হয়েছে, সেখানে তাপমাত্রার হেরফের হয়। চবে গরমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছে যায়।

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে কামোরি প্রজাতির ছাগল সবথেকে বেশি দেখা যায়। পাকিস্তান ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল প্রতিপালিত হয় সে দেশে। কোনও ছাগনের প্রতিপালন করা হয় মাংসের জন্য। আবার কিছু প্রজাতি দুধ ও মাংস দুই কারণেই প্রতিপালিত হয়। এই নুবিয়ান প্রজাতির ছাগলের দুধে খুবই উচ্চমানের। এদের দুধে ফ্যাটের পরিমাণও অনেক বেশি। এদের দুধ দিয়ে আইসক্রিম, চিজ, মাখন তৈরিতে সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খুব গরমেও এই প্রজাতির ছাগল থাকতে পারে। এবং এদের প্রজনন সময়কালও ছাগলের অন্য প্রজাতিত তুলনায় অনেক বেশি হয়।