UK Visa Scheme: মোদী-ঋষি সাক্ষাতের পরই ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বড় ‘উপহার’ ঘোষণা ব্রিটেনের
UK Visa Scheme: ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় পেশাদারদের ব্রিটেনের তরফে ভিসা দেওয়া হবে। গতকাল মোদী-ঋষি সাক্ষাতের পরই ব্রিটেনের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
লন্ডন: ১৭ তম জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi in Bali) ও ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে স্বল্প সময়ের জন্য দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। এই সাক্ষাতের কিছুক্ষণ পরেই ব্রিটিশ সরকারের তরফে ভারতীয়দের জন্য সুখবর শোনানো হয়। মোদী-ঋষি সাক্ষাতের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় পেশাদারদের ব্রিটেনের তরফে ভিসা দেওয়া হবে।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘আজ ব্রিটেন-ভারত ইয়ং প্রফেশনাল স্কিম নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দু’ বছরের জন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী শিক্ষিত ৩০০০ ভারতীয় নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে এসে কাজ করার ও বসবাস করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ভারতই প্রথম এই ধরনের ভিসা স্কিমের সুফল পাবে। উল্লেখ্য, ভারত-ব্রিটেন অভিবাসন নীতিকে আরও মজবুত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল গত বছর। সেই প্রয়াসের অংশ হিসেবে এইবার ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এই ভিসা স্কিমের অফার এল।
ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এই স্কিমের সূচনা ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যুক্তরাজ্যের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’ এই ঘোষণার কয়েক মুহূর্ত আগেই মোদী ঋষির মধ্যে কিছুক্ষণের সাক্ষাৎ হয়েছে। এদিকে গতকালই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য মন্তব্য করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। গতিশীল ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সাক্ষী এই অঞ্চল।’ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সংযোগ বেশি। ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের মধ্যে চারভাগের এক ভাগই ভারতের। ফলে এই স্কিমের ফলে ভারত-ব্রিটেন দ্বপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।