Nuclear War: পরমাণু যুদ্ধ কি সময়ের অপেক্ষা? রুশ সরকারি টেলিভিশনের দাবি ঘিরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক
Russia: জাতির উদ্দেশে ভাষণে পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া কোনওভাবে ভয় দেখানোর জন্য বলছে না, পশ্চিমীদেশগুলি যদি ইউক্রেনকে সমর্থন করা চালিয়ে যায়
মস্কো: প্রায় ৭ মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। চলতি সপ্তাহে বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশে সামরিক গতিবিধি শুরু করার পাশাপাশি পশ্চিমীদেশগুলিকে আক্রমণের হুমকি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরমধ্যেই রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনে আগত অতিথি ও অ্যাঙ্কর রীতিমতো হুমকির সুরে বলেছেন রাশিয়াকে যদি কোণঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে ‘প্রত্যেকে ধ্বংস হয়ে যাবে।’ বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে পুতিন জানিয়েছিলেন, আংশিকভাবে রাশিয়ানদের ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। পুতিনের এই ঘোষণার পরই রাশিয়া জুড়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সামাল দিতে সেনা অভিযানও চালানো হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া কোনওভাবে ভয় দেখানোর জন্য বলছে না, পশ্চিমীদেশগুলি যদি ইউক্রেনকে সমর্থন করা চালিয়ে যায়, তবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও তারা পিছপা হবেন না। সামরিক বিশেষজ্ঞ ইগর কোরোচেঙ্কো এবং রাষ্ট্রীয় টিভি উপস্থাপক ওলগা স্কাবিভা সম্মত হয়েছেন যে, রাশিয়া যদি মনে করে যে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে, তবে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পিছপা হবে না। রুশ টেলভিশনের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
কোরোচেঙ্কো বলেন, “রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, পশ্চিমীদেশগুলি এই সম্ভাবনতে আতঙ্কিত বোধ করে। পুতিনের মুখে উচ্চারিত শব্দগুলিও ভীষণ মূল্যবান। সেই কারণ ওপরে রাশিয়া বিরোধিতার সুর চড়ালেও পশ্চিমী দেশগুলি খানিকটা আতঙ্কিত। পশ্চিমীদেশগুলি বুঝতে পেরেছে, রাশিয়া বিপদ অনুভব করলে যে কোনও মুহূর্তে আক্রমণ করতে পারে।”
টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার যুদ্ধ করার কোনও ইচ্ছে ছিল না। পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “ওরা কী চায়? রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তারা জিততে চায়। পারমাণবিক বোমা ছাড়া রাশিয়াকে যুদ্ধে হারানো অসম্ভব। কোনও প্রশ্ন নেই। আমাদের যদি ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়, তবে আমাদের সঙ্গে ওরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের পরমাণু যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করা উচিত। তার যদি এখনই না থামে, তবে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”