ঢাকা: কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার (৮ অগস্ট), বাংলাদেশে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে, মাত্র ২৬ বছর বয়সেই সেই সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টাও হয়েছেন তিনি। এবার ভারতের বিদেশ নীতি নিয়ে প্রশষ্ন তুললেন নাহিদ ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে তাঁরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চান। তবে তার জন্য শর্ত হল, নয়া দিল্লিকে ভারতের বিদেশনীতি পর্যালোচনা করতে হবে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নাহিদ জানিয়েছেন, “শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে ভারত। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চাই। ভারতের উচিত তাদের বিদেশনীতির দিকে তাকানো। তা না-হলে তারা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।”
শেখ হাসিনার শাসনের সময় যে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেই সকল ঘটনার ন্যায়বিচার করা হবে বলে জানিয়েচেন নাহিদ। তিন বলেছেন, “আমাদের বিপ্লবের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল এটা।” শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলেও তাদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে এই উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, “আমি চাই তাকে গ্রেফতার করা হোক। সেটা হতে পারে নিয়মিত বিচারিক ব্যবস্থায় অথবা বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে। এটা কীভাবে করা যায়, আমরা আলোচনা করছি।”
তবে, ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা, আবু বকর মজুমদার আবার শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বদ্ধপরিকর। তাঁর দাবি, হাসিনাকে দেশে ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াত হবে। হাসিনাকে দেশে ফেরানোর ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল, গণ অধিকার পরিযদও। তাদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর, হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে না দিলে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশন ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের গুরুতর অভিযোগও করেছেন তিনি।
পাশাপাশি, বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী, জ্ঞানেশ্বর রায়ও বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্কও রাখবে, আবার শেখ হাসিনাকেও সহায়তা করবে নয়া দিল্লি, এটা হতে পারে না। শেখ হাসিনাকে তাদের প্রতিপক্ষ বলে দাবি করে তিনি বলেছেন, “তাঁকে (হাসিনাকে) তারা সমর্থন করলে, সহযোগিতার সম্পর্ক রাখা জটিল হয়ে যাবে।”