মার্কিন ক্যাপিটলে বিক্ষোভকারীর হাতে ভারতীয় পতাকা! নিন্দায় সরব নেট দুনিয়া
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনের হাতে দেখতে মিলল ভারতীয় পতাকা। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
ওয়াশিংটন: ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে আমেরিকায় নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “আব কি বার ট্রাম্প সরকার।” যদিও সে দেশে সরকার গড়তে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে ডেমোক্র্যাটরা। আর যেদিন পরাজয় স্বীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সেদিনই ফের ট্রাম্পের সঙ্গে উঠে এল ভারত প্রসঙ্গ। বাইডেনকে জয়ের স্বীকৃতি দিতে যৌথ অধিবেশন চলছিল মার্কিন কংগ্রেসে। তখনই ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা করেন ক্যাপিটল (US Capitol) ভবনে। লন্ডভন্ড হয়ে যায় সমগ্র ক্যাপিটল। আর সেই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনের হাতে দেখতে মিলল ভারতীয় পতাকা। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি) দেখা যায়, ক্যাপিটল ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের এক জনের হাতে ভারতীয় পতাকা। তারপর থেকেই নিন্দার ঝড় গোটা নেটদুনিয়ায়। বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা শশী থরুর। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শশী থরুর জানিয়েছেন, ট্রাম্প-ভক্তদের মতো চিন্তাবান সেখানে কয়েক জন ভারতীয় ছিলেন, যাঁরা পতাকাকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
Unfortunately, @varungandhi80, there are some Indians with the same mentality as that Trumpist mob, who enjoy using the flag as a weapon rather than a badge of pride, & denounce all who disagree with them as anti-nationals & traitors. That flag there is a warning to all of us. https://t.co/uJIaDlLklt
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) January 7, 2021
বরুণ গান্ধী লিখেছেন, “সেখানে কেন জাতীয় পতাকা। এই যুদ্ধে আমাদের অংশগ্রহণ উচিত নয়।” মার্কিন ক্যাপিটলে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাইডেন বলেছেন, “গণতন্ত্র নিগৃহীত হয়েছে।” সেই বিক্ষোভে ভারতীয় পতাকার উপস্থিতির কূটনৈতিক প্রভাব ভবিষ্যতে পড়তে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! কংগ্রেসের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
তবে মার্কিন কংগ্রেসে হামলার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সারা বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে লিখেছেন, “ওয়াশিংটন ডিসি-র এই হিংসার ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিত। বেআইনি প্রতিবাদের দ্বারা গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করা যায় না।”