Indian Arrested US: মার্কিন মুলুকে গ্রেফতার ভারতীয় যুবক! বিদেশে গিয়েও সে কীভাবে করল এমন কাজ?

Fraud Case: জানা গিয়েছে, এই দুই অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত হলে তাদের ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আড়াই লক্ষ ডলার জরিমানা করা হবে। সুমিত কুমার সিং, হিমাংশু কুমার এবং এমডি হাসিব নামে ৩ জন ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে

Indian Arrested US: মার্কিন মুলুকে গ্রেফতার ভারতীয় যুবক! বিদেশে গিয়েও সে কীভাবে করল এমন কাজ?
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 2:17 PM

ওয়াশিংটন: ভারতীয়রা (Indian) গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাদের প্রতিভা, কর্মকাণ্ডের জন্য গোটা বিশ্বেই ভারতীয় নাগরিকদের সমীহ করা হয়। কিন্তু মার্কিন মুলুকে অবাক করা এক কাণ্ড ঘটালেন এক ভারতীয় নাগরিক। ভার্জিনিয়াতে (Virginia) ফেডারেল ল এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছেন। ধৃত ২৪ বছর বয়সী অনিরুদ্ধ কালকোটের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রবীণ নাগরিকদের প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার তাঁকে হিউস্টনে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়। ধৃত ওই যুবকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে এবং ইমেলের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে এমডি আজাদ নামে হিউস্টনের এক অবৈধ বাসিন্দার বিরুদ্ধেও এই জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি আদালতে হাজির হবেন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেককে একাধিকবার প্রতারণা করা হয়েছে এবং টাকা না দিলে তাদের শারীরিক ক্ষতি করা হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই দুই অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত হলে তাদের ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আড়াই লক্ষ ডলার জরিমানা করা হবে। সুমিত কুমার সিং, হিমাংশু কুমার এবং এমডি হাসিব নামে ৩ জন ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, এবং দ্রুত তাদের সাজা শোনানো হবে। স্থানীয় পুলিশ জানা গিয়েছে, এদের প্রত্যেকেই অবৈধভাবে হিউস্টনে থাকতেন। জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্র বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে প্রবীণ নাগরিকদের প্রতারণা করত। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রামের মতো বিভিন্ন সংস্থার নাম করে তাদের টাকা পাঠানোর কথা বলত এবং বিনিময়ে মেল করে গিফ্ট কার্ড দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করত এই চক্র। এমনকী কম্পিউটারে প্রযুক্তিগত সাহায্যের নাম করেও প্রতারণা করত এই চক্র। ফোন ও বিভিন্ন ওযেবসাইটের মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এই প্রতারকরা।

ফোন করে গ্রাহকদের বলা হত যে তারা প্রযুক্তিবিদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটার অ্যাক্সেস প্রয়োজন। কম্পিউটার অ্যাক্সেস নিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য, ক্রেডিট কার্ড ইনফর্মেশন হাতিয়ে নেওয়া হত। সেখান থেকেই নিমেশে খালি হয়ে যেত তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এখন এদেরকে আদালত কী সাজা দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।