দেশ: দ্রুত ও নিয়মিত ভাবে তথ্য জমা দিচ্ছে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। কোভাক্সিন (Covaxin) জট নিয়ে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষ করার আগেই ভারতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন টিকা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায় কোভ্যাক্সিন প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিদেশ যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ভারত বায়োটেক সংস্থার তরফে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল।
এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ভারতের ভারত বায়োটেক কোভাক্সিনের ইইউএল-এর তথ্য “নিয়মিত এবং খুব দ্রুত ভাবে” টেকনিক্যাল কমিটির কাছে জমা দিচ্ছে। যারা আশা করছে যে, আগামী সপ্তাহেই এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ করা যাবে। তার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই অফিসার জোর দিয়ে বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী ভারতীয় সংস্থার ওপর জাতিসংঘ (United Nations)-এর বিশ্বাস আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাক্সেস টু মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ প্রোডাক্টস-এর সহকারী পরিচালক ডাঃ মারিয়াঞ্জেলা সিমাও জেনেভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমি বলতে চাই যে, ভারত নিয়মিত এবং খুব দ্রুত তথ্য জমা দিচ্ছে। কিন্তু তারা শেষ ব্যাচের তথ্য জমা দিয়েছে গত ১৮ অক্টবর।”
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের এমার্জেন্সি ব্যবহারের জন্য গত ১৯ এপ্রিল ইওআই বা এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট জমা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে।
এই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা দল, যারা মঙ্গলবার একে বৈঠকে মিলিত হয়েছিল, তারা ভ্যাকসিনের জরুরী ব্যবহার তালিকাভুক্তির জন্য সবরকম মূল্যায়নের জন্য কোভাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
সিমাও আরও জানান, গত ২৬ অক্টোবর যখন প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গোষ্ঠী কোভাক্সিনের জন্য ইইউএল নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিলিত হয়। সে সময়ই তারা ভারত বায়োটেকের কাছে এই অতিরিক্ত ব্যাখ্যা চায়। তার পর আগামী ২ নভেম্বর ফের প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গোষ্ঠী কোভাক্সিনের ইইউএল-এর চূড়ান্ত ঝুঁকি ও সুবিধা মূল্যায়ন করবে। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়মিত ভাবে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই আধিকারিক যোগ করেন, “কোনও না কোনও ভ্যাকসিন নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নয়… আমরা সত্যিই ভারতীয় সংস্থাকে বিশ্বাস করি। ভারত বিশ্বের বিভিন্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভ্যাকসিন উৎপাদন করে। এবং তা উচ্চ মানের ভ্যাকসিন। এই মুহূর্তে আমরা এই উপদেষ্টা কমিটির মূল্যায়নের শেষ পর্যায়ে আছি। আশা করি আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি চূড়ান্ত সুপারিশ থাকবে।”