লুমাজং: ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি ইন্দোনেশিয়া। সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ইতিমধ্যেই ১৩ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে এই অগ্ন্যৎপাতের ফলে ১২ জন আহত হয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগকে উদ্ধারকাজে নামনো হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেই ১০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
শনিবার জাভা দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত সব উচ্চতম সেমেরু পাহাড় থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। প্রচুর পরিমাণ ছাই ও আগুনের গোলার কবলে পড়েন নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। ভয়ে আতঙ্কে তারা দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছোটছুটি করতে শুরু করেন। পূর্ব জাভা প্রদেশের লুমাজং জেলার ১১ টি গ্রাম এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশেপাশের এলাকার সব কিছুর ওপর ছাইয়েক আস্তরন পড়ে গিয়েছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে প্রায় ৯০০ জনের ও বেশি মানুষ নিকটবর্তী মসজিদ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
অগ্ন্যুৎপাতের বেশ কিছু ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা আতঙ্কে চিৎকার করে চারিদিকে ছুটছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মুখপাত্র আবদুল মুহারি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে, ১৩ জন মারা গিয়েছে এবং পরবর্তীকালে হয়ত আরও দেহ উদ্ধার করা হবে। কিন্তু কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি তারা। পরবর্তীকালে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে মৃতদের মধ্যে দুই জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে এই ঘটনায় ৫৪ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে ৪১ জনের আঘাত বেশি থাকার কারণে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আটকে পড়া ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোথাও কেউ আটকে আছে কিনা বা কোনও মৃতদেহ উদ্ধার বাকি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাতভর উদ্ধার কাজ চলেছে। স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমের দাবি যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা স্থানীয় খনিতে কর্মরত ছিলেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র গরম ছাইয়ের কারণে রবিবার সাময়িকভাবে উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন Xiaomi 12: এই ফোনে থাকতে পারে ৫০ মেগাপিক্সেলের মেন ক্যামেরা সেনসর, ফাঁস ফোনের পিছনের অংশের ছবি