Corona Virus: করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত আমেরিকার সাদা লেজের হরিণ
পুরো আমেরিকায় মানুষের থেকে হরিণের আর হরিণ থেকে হরিণের মধ্যে সাদা লেজওয়ালা হরিণের বাসস্থানের কাছে দ্রুতগতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশেষভাবে এটা ২০২১ এর শুরুর দিকের কয়েক মাসে স্পষ্ট হয়েছে যখন মানুষের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছিল।
আমেরিকার নতুন অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে সাদা লেজওয়ালা হরিণ সার্স-কোভ-২ (SARC-COV-2) ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। এটি সেই ভাইরাস যা মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস ছড়ায়। জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২১ এর মধ্যে মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, ইলিনোইস এবং নিউইয়র্ক রাজ্যে যে হরিণদের পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ হরিণের অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। অন্য একটি অপ্রকাশিত গবেষণায় নভেম্বর ২০২০ আর জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে আইওয়ায় নেওয়া নমুনায় ৮০ শতাংশ হরিণের মধ্যে ভাইরাস থাকার কথা বলা হয়েছে।
সংক্রমণের এই ধরণের উচ্চস্তরকে মাথায় রেখে অনুসন্ধানকারীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন এই হরিণগুলি সক্রিয়ভাবে ভাইরাসকে একে অপরের মধ্যে ছড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সার্স-কোভ-২ ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে জানা গিয়েছে বেশকিছু মানুষের দ্বারা হরিণগুলি সংক্রমিত হয়েছে।
উত্তর আমেরিকায় বড় সংখ্যায় সাদা লেজওয়ালা রয়েছে, এবং তথ্য অনুযায়ী তারা প্রায়শই মানুষেক কাছাকাছি থাকে। যা এই রোগটিকে দুটি প্রজাতির মধ্যে স্থানান্তরিত করার সম্ভবনাকে বাড়িয়ে দেয়। এই ভাইরাসের স্থানান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে বন্যজীব ম্যানেজমেন্ট কমিটি, খেত অনুসন্ধান, মনোরঞ্জন, পর্যটন এবং শিকার শামিল থাকতে পারে। আসলে শিকারীদের মধ্যে এই রোগের পুণঃসংক্রমণের সবচেয়ে স্পষ্ট স্রোতগুলির একটি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে কারণ শিকারীরা নিয়মিতভাবে মৃত পশুর সংস্পর্শে থাকেন। এটাও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে সার্স-কোভ-২ দ্বারা দূষিত জলের উৎসগুলি সংক্রমণ ছড়ানোর একটা রাস্তা হতে পারে, যদিও এটি এখনও প্রমাণিত হয়নি।
এমনটা মনে করা হচ্ছে, পুরো আমেরিকায় মানুষের থেকে হরিণের আর হরিণ থেকে হরিণের মধ্যে সাদা লেজওয়ালা হরিণের বাসস্থানের কাছে দ্রুতগতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশেষভাবে এটা ২০২১ এর শুরুর দিকের কয়েক মাসে স্পষ্ট হয়েছে যখন মানুষের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছিল। আগের অনুসন্ধানে জানা গিয়েছিল যে সার্স-কোভ-২-কে মানুষের থেকে ঘরোয়া এবং বন্দি পশুদের মধ্যে ছড়ানো যেতে পারে, যার মধ্যে বেড়াল, কুকুর, চিড়িয়াখানার জন্তু আর বিশেষভাবে পালিত মিঙ্ক শামিল রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগটিতে বন্যজীব প্রজাতির মধ্যে ছড়াতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: Google Chrome Update: নতুন ভার্সানে গুগল ক্রোম আপডেট করেছেন? না করলে বিপদে পড়বেন ইউজাররা