AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

US Military Exercise: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবেই ধরে কি চিন-রাশিয়াকে বাগে আনতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ট্রাম্প?

তাইওয়ান নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে চিন। হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া। ইরানও পারমাণবিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্প ধরেই নিচ্ছেন, এক না একদিন বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ শুরু হবেই। আর তাই কি চূড়ান্ত প্রস্তুতির নির্দেশ বায়ুসেনাকে? শুরু হচ্ছে 'REFORPAC'...

US Military Exercise: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবেই ধরে কি চিন-রাশিয়াকে বাগে আনতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ট্রাম্প?
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2025 | 4:08 PM
Share

চিনা আগ্রাসন রুখতে, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ শুরু হলে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ও রাষ্ট্রদের বাঁচাবে — তারই হাতেকলমে মহড়া শুরু করল মার্কিন বায়ুসেনা। মার্কিন মুলুকের আকাশপথ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপর — এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সেনা মহড়া শুরু করল আমেরিকার। মহড়ায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার আকাশপথের নিরাপত্তা ও মার্কিন বায়ুসেনার শক্তি -দুটোই খতিয়ে দেখা হবে। তাইওয়ান নিয়ে চিনা আগ্রাসন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুঁশিয়ারি, ইরানের পারমাণবিক গবেষণা চালিয়ে যাওয়া– এইসব মিলিয়ে যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে উত্তেজনা প্রশমন ও নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আকাশপথে মহড়া শুরু মার্কিন সেনার। ১২ হাজারেরও বেশি বায়ুসেনা, ৩৫০-এরও বেশি যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও জ্বালানি ভরতে সক্ষম বিমান নিয়ে ইতিহাসে প্রথমবার এত বড় মহড়া করছে আমেরিকা। যার পোশাকি নাম – ‘Resolute Force Pacific‘, সংক্ষেপে ‘REFORPAC‘।

১০ জুলাই থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত মার্কিন সেনার এই মহড়ায় থাকবে অস্ট্রেলিয়া, জাপানের মতো বন্ধু রাষ্ট্রও। এই মহড়ায় ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বা PACAF দেখাবে কীভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শত্রুকে নাস্তানাবুদ করতে হয়। হাওয়াই, গুয়াম, জাপান-সহ ৩০০০ মাইল জুড়ে অন্তত ৫০টি এয়ারস্পেসে চলবে মহড়া। ১৯টি মিত্র রাষ্ট্রের সঙ্গে আমেরিকা একযোগে এই মহড়া চলবে। ওয়াশিংটনের লক্ষ্য, মিত্র রাষ্ট্রদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যথাযথ আশ্বাস ও সর্বশেষ প্রযুক্তির পাঠ দেওয়া। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও মিত্র রাষ্ট্রের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে। এই মহড়ায় যুদ্ধবিমান কীভাবে দীর্ঘক্ষণ উড়তে পারবে, কীভাবে মাঝআকাশেই জ্বালানি ভরতে পারবে, হামলা চালাবে বা উদ্ধারকাজ করবে– সেই সব হাতেকলমে দেখানো হবে। ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কেভিন স্নেইডার জানিয়েছেন, ‘যে কোনও পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত থাকতে চাই। হতেই পারে ওড়ার সময় পাইলটের সঙ্গে কমান্ড সেন্টারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। তখন কী করবেন পাইলট? তাঁদের স্বনির্ভর হতে হবে, সক্ষম হতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। মার্কিন পাইলটরা যাতে দ্রুত প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে শেখেন সেই লক্ষ্যেই এই মহড়া।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, মার্কিন বায়ুসেনার সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান এই মহড়ায় অংশ নেবে। মহড়া বলে কোনও খামতি দেখাবে না।

সোভিয়েতের সঙ্গে ঠাণ্ডা যুদ্ধ জমানার পর এরকম বড় মাপের মহড়া মার্কিন সেনা চালায়নি। মার্কিন বায়ু সেনার সচিব ট্রয় মেইংক বলেছেন, ‘মার্কিন এয়ার ফোর্স ও স্পেস ফোর্সের সদস্যরা দেশরক্ষায় কতটা কার্যকরী সেটা খতিয়ে দেখে নেওয়ার জন্যই এই মহড়া।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন সেনা যে সব যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় নামাচ্ছে, সেটা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আসলে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য এটা ট্রাম্পের প্রস্তুতি। ২০২৩-এ মার্কিন সেনার শেষ বড় মহড়া Mobility Guardian 2023-এর দুবছর পর এই মহড়ায় আগের ভুলত্রুটি শুধরে নিতে চায় মার্কিন সেনা। বায়ুসেনা প্রধান জেনারেল ডেভিড অ্যালভিন তো বলেই দিচ্ছেন, ‘শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে, মাটি থেকে কয়েকশো ফুট উপরে, কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই মহড়া বিশ্বকে জানিয়ে দেবে, আমেরিকা ভবিষ্যতের যে কোনও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’ এই মহড়া প্রায় এক মাস চালানোর আর একটা কারণ, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের আবহে সেনার মনোবল কেমন থাকে সেটাও খতিয়ে দেখা। সম্প্রতি, বেজিং রাজপথে নজিরবিহীনভাবে তাদের মিসাইল নিয়ে মহড়া চালিয়েছে। আর এবার পাল্টা আকাশপথে নিজেদের কেরামতি দেখাবে মার্কিন বায়ুসেনা-ও।