গাজা: ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের ভয়াবহতা স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর সফর চলাকালীন বিশেষ কিছুই ঘটেনি, নতুন করে কোনও সংঘর্ষের খবরও মেলেনি। তবে বাইডেন ইজরায়েল ছাড়তেই ফের শুরু হল গোলাবর্ষণ। বুধবার রাত থেকে লাগাতার গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে ইজরায়েলে। বিভিন্ন সীমান্ত থেকে হামলা চালাচ্ছে হামাস বাহিনী। অন্যদিকে, বাইডেনের সফরের পর আজই ইজরায়েলে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইসাক হেরজ়গের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হতে চলেছে। হামাস বাহিনীর আক্রমণের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েলও। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ইজরায়েল সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল গাজা সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেখানে একযোগে স্থল, জল ও আকাশপথে হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইজরায়েলের। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক মহলের তরফেই ইজরায়েলকে এই হামলা চালাতে বারণ করা হয়েছে। গাজার নিরাপরাধ মানুষদের প্রাণরক্ষার আর্জি জানানো হয়েছে।
এদিকে, গতকালই বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী এসে পৌঁছয় ইজরায়েলে। সেগুলি গাজায় পাঠানোর কথা। তেল আভিভ ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে রাজি হলেও, বেঁকে বসেছিল মিশর। তারা রাফাহ সীমান্ত খুলতে নারাজ ছিল। তবে সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর ইজরায়েল ও মিশর-উভয়ই সুর নরম করেছে। গাজায় ত্রাণসামগ্রী ঢুকতে দিতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় জল, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ চালু করতে রাজি হয়েছে। এদিকে, গাজার হাসপাতালে রকেট হামলায় ৫০০ মানুষের মৃত্যুর দায় ইজরায়েলের নয়, এ কথা জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগও। আজ, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে বিবৃতি জারি করতে পারেন।