শক্তির দম্ভে আরও হিংস্র ইজরায়েল-গাজ়া, মৃত্যু মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে
২০০৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোট ৫৫৯০ ফিলিস্তিনি (Palestine) এবং ২৫০ জন ইজরায়েলের নাগরিক মারা গিয়েছেন।
জ্যোতির্ময় রায়: ক্রমেই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে ইজরায়েল ও প্যালিস্তাইনের সংঘর্ষ। দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। প্যালেস্তাইনের মাটি থেকে হামাস হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করছে ইজরায়েলের দিকে। তবে ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সেসব মাঝ পথে নষ্টও করছে জেরুজালেম। সঙ্গে ইজরায়েল চালাচ্ছে বিমান হামলাও।
মৌলবাদী সংগঠন হামাসের কথিত অফিস ও বাসস্থান হিসেবে পরিচিত গাজ়ার হানাডি টাওয়ারে ইজরায়েল বিশাল বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। রীতিমত ধ্বংসলীলা চলছে সেখানে। হামাসও ইজরায়েলি শহর তেল আভিভ, আশকেলন, বারশেবাতে ভারী রকেট নিক্ষেপ করেছে। এখানে প্রতি বছরই হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়। কয়েক হাজার মানুষ প্রাণও হারান। তবে এবার সংঘাতের ভয়ঙ্করতা একটু বেশি। ইতিমধ্যে হামাসের ১১ জন কমান্ডার নিহতও হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নিশীথ আমার পাশে ছিলেন একজন সাংসদ হিসাবে, বিজেপি নেতা হিসাবে নয়’, স্পষ্ট করলেন ধনখড়
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে এই অঞ্চলে ফিলিস্তিন এবং ইজরায়েলি সংঘাতে মৃত্যু মিছিল দেখেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়সমূহের সমন্বয় কার্যালয়। ২০০৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোট ৫৫৯০ ফিলিস্তিনি এবং ২৫০ জন ইজরায়েলের নাগরিক মারা গিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতের সংখ্যাও নজরে পড়ার মত। এই ১২ বছরে মোট ১,১৫,০০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ইজরায়েলে আহতদের সংখ্যা ৫,৬০০।
তিন ইজরায়েলি কিশোরকে অপহরণ ও হত্যার পর ইজরায়েল ২০১৪ সালের ৮ জুলাই গাজ়ায় আক্রমণ চালায়। যা অপারেশন প্রোটেকটিভ এজ (Operation Protective Edge) হিসাবে পরিচিতি। সে বছর ২৭ অগাস্ট যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হওয়ার পর এই যুদ্ধের অবসান ঘটে। ৮ জুলাই থেকে ২৭ আগস্টের মধ্যে ৫০ দিন ব্যাপী এই লড়াইয়ে গাজ়া উপত্যকায় ইজরায়েলের ৬৬ জন সৈনিক, সাতজন নাগরিক ও ২১০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে, ইজরায়েল-গাজ়া সীমান্তে বিক্ষোভের কারণে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এবারের ছবিটা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেই আশঙ্কা।