‘মাস্ক-মুক্তি’ সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের! ‘খুশির দিন’, বললেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন
বর্তমানে আমেরিকার প্রায় ৬০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিই একটি বা দুটি ভ্যাকসিনের ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীজেরও টিকাকরণ শুরু হয় ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার পর।
ওয়াশিংটন: করোনাকে ধীরে ধীরে হার মানাচ্ছে আমেরিকা। মাস্ক পরা নিয়ে যে দেশে সবথেকে বেশি বিরোধিতা করা হয়েছিল, সেখানেই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নিয়ম প্রত্যাহার করল আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনাযুদ্ধে এই বড় মাইলফলক সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে এটি খুব ভাল একটি দিন।”
বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর ডিজিজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সংক্ষেপে সিডিসি-র তরফে ঘোষণা করে বলা হয়, “যাদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ই সম্পূর্ণ রয়েছে, তাঁরা বাড়ির ভিতরে বা বাইরে যে কোনও ছোট-বড় অনুষ্ঠানে মাস্ক না পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই অংশ নিতে পারেন।” সিডিসির ডিরেক্টর রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, “যদি আপনাদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়ে থাকে, তবে এই একবছর যা কিছু করা থেকে বিরত রাখা হয়েছিল আপনাদের, তা করতে পারেন।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই সিদ্ধান্তকে খুশির বার্তা বললেও অনেকের মতেই এই সিদ্ধান্ত ভুল। তাঁদের মতে, শুধুমাত্র টিকাকরণ হয়ে গেলেই মানুষ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, এ কথা ভাবা ভুল।
বর্তমানে আমেরিকার প্রায় ৬০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিই একটি বা দুটি ভ্যাকসিনের ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদেরও টিকাকরণ শুরু হয় ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার পর।
সিডিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিমান, বাস, ট্রেন বা অন্যান্য গণপরিবহনে যাতায়াত করলে সকলকেই মাস্ক পরতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে যাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে, তাদেরও বিমানে ওঠার তিনদিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে কিংবা বিগত তিন মাসের মধ্যে তিনি করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: আস্থা ভোটে হেরেও ফের নেপালের মসনদে ফিরছেন কেপি ওলি