আস্থা ভোটে হেরেও ফের নেপালের মসনদে ফিরছেন কেপি ওলি
আগেও ওলিকে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়। এমনকি নিজের দলের অন্দরেও বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
কাঠমাণ্ডু: আস্থাভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিরোধীরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি। তাই ফের নেপালের মসনদে ফিরছেন কেপি শর্মা ওলি। শুক্রবারই শপথ নেবেন তিনি। গত সোমবারই আস্থা ভোটে হার হয় তাঁর। কিন্তু বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তাঁকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে ফেরানোর কথা জানান নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী।
সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি নেপালের বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালের জোট। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সময় ছিল বিরোধীদের কাছে। কিন্তু তার মধ্যেও সেই সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি তারা। নেপালি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবা সিপিএন চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহল প্রচণ্ডের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন। তাই সংখ্যা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। জানা গিয়েছে, নেপালি কংগ্রেসে ৬১ জন এবং প্রচণ্ডের দলে ৪৯ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ এদের মিলিত আসন ১১০। অন্য দিকে। ২৭৫ আসন বিশিষ্ট নেপালি সংসদের জন্য ম্যাজিক ফিগার হল ১৩৬, আর ওলির সমর্থনে রয়েছেন ১২১ জন সদস্য। আস্থা ভোটে ৯৩টি ভোট পড়েছিল ওলির সমর্থনে। ওলির বিরুদ্ধে ১২৪ সদস্য ভোট দেন।
আরও পড়ুন: সময় মতো কাজ হয়নি, প্রাণ বাঁচাতে ব্যর্থ হু, দাবি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের
গত জানুয়ারিতেই নেপালের কে পি শর্মা ওলিকে বহিষ্কার করে সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহাল ওরফে প্রচণ্ডর সঙ্গে সংঘাতের জেরেই বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। ওলির আমলে চিনের সঙ্গে সখ্যতা বারবার সামনে এসেছে। ভারত-বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে ওলিকে, ভারতের বিরুদ্ধে কথাও বলেছেন তিনি। তাঁর আমলেই ভারতীয় ভূখণ্ডকেও নেপালের অন্তর্গত করে ম্যাপ প্রকাশ করেছিল কাঠমাণ্ডু। যার পিছনে চিনের ইন্ধনের প্রসঙ্গ এনেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই তাঁর বিরোধিতায় সরব হয় দল।