Netanyahu-Modi: কঠিন সময়ে ইজরায়েলের পাশে ভারত, নেতানিয়াহুকে বার্তা মোদীর
PM Benjamin Netanyahu calls PM Modi: মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছেন তিনি। পাল্টা প্রধানমন্ত্রী মোদী, ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: গত শনিবার ইজরায়েলে, প্যালেস্টাইনপন্থী হামাস গোষ্ঠীর অতর্কিত হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ৫০ বছর পর যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে তেল আবিব। এরই মধ্যে যুদ্ধের চতুর্থ দিন, অর্থাৎ, মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছেন তিনি। পাল্টা প্রধানমন্ত্রী মোদী, ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে, নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ““প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে আপডেট দিয়েছেন। এর জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। ভারতের মানুষ এই কঠিন সময়ে দৃঢ়ভাবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত দৃঢ়ভাবে এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে।”
I thank Prime Minister @netanyahu for his phone call and providing an update on the ongoing situation. People of India stand firmly with Israel in this difficult hour. India strongly and unequivocally condemns terrorism in all its forms and manifestations.
— Narendra Modi (@narendramodi) October 10, 2023
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় গোটা বিশ্ব দুই পক্ষে ভাগ হয়ে গেলেও, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। যুদ্ধের সমালোচনা করেছিল, আবার সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধেও যায়নি। বরং, পশ্চিমী দেশের সমালোচনা সত্ত্বেও, রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কিনেছে। কিন্তু, হামাস-ইজরায়েল দ্বন্দ্বে, প্রথম থেকেই হামাসের হামলার সমালোচনা করেছে ভারত সরকার। গত শনিবার ইজরায়েলে হামাসের হামলার পরই, এই হামলার নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছিলেন, “ইজরায়েলে সন্ত্রাসবাদী হামলার খবরে গভীরভাবে শোকাহত। হতাহতদের এবং তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। এই কঠিন সময়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।”
মঙ্গলবার, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ চতুর্থ দিনে পড়েছে। আর এই চার দিনেই দুই পক্ষ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ১,৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলে ৯০০-র বেশি এবং গাজা ভূখণ্ডে ৬০০-র বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা ভূখণ্ড থেকে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস যোদ্ধারা। এই আগ্রাসনের জবাবে, ইসরায়েল গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিকে ‘ধ্বংসস্তুপে’ পরিণত করার শপথ নিয়েছে। আকাশপথে লাগাতার হামলা শুরু হয়েছে। গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ, অর্থাৎ, জল, বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল। এরপর, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, “অসামরিক নাগরিকদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে বঞ্চিত করে তাদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে এই অবরোধ। এটা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে নিষিদ্ধ।”