বাইডেন-পুতিনের ফোনালাপেও উঠে এল ট্রাম্পের ‘ভোট কারসাজির’ প্রসঙ্গ

কী কথা হল দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে? উঠে এল কোন কোন প্রসঙ্গ?

বাইডেন-পুতিনের ফোনালাপেও উঠে এল ট্রাম্পের 'ভোট কারসাজির' প্রসঙ্গ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 27, 2021 | 5:59 PM

ওয়াশিংটন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন জো বাইডেন (Joe Biden)। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ফোনে কথা হয় দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিন উভয় তরফই এই ফোনালাপের বিষয় নিশ্চিত করেছে। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন জো। সূত্রের খবর, মস্কোর উদ্যোগেই এই ফোনালাপের আয়োজন হয়েছিল।

ফোনালাপের বিষয়ে কী জানিয়েছে আমেরিকা?

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে বাইডেনের ও পুতিনের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার বিষয়ে হিসাবে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, আমেরিকায় সাইবার হামলা, পুতিন বিরোধী নেতা নাভালনি, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন, পরমাণু চুক্তি-সহ একাধিক প্রসঙ্গ। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ করবে, একথা সাফ জানানো হয়েছে পুতিনকে।

ক্রেমলিনের বক্তব্য কী?

জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর অভিবাদন বার্তা এসেছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তবে প্রথমেই জো বাইডেনকে অভিবাদন জানাননি পুতিন। বাইডেনকে অভিবাদন জানাতে সবচেয়ে বেশি দেরি করেছিল চিন ও রাশিয়া। মার্কিন নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রায় দেড় মাস পর বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পুতিন। বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে রাশিয়া জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা আলোচনা হয়েছে।

ফাইল চিত্র

সাম্প্রতিক কালে আমেরিকা-রাশিয়া সম্পর্ক

বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ হওয়ার ফলে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলতেই থাকে। তবে ওবামা জমানার শেষের দিকে চরমে পৌঁছেছিল সেই দৌড়। ২০১৬ সালের আমেরিকা নির্বাচনে তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন অভিযোগ করেছিল নির্বাচনে নাক গলিয়েছে আমেরিকা। এমনকি সে সময় রুশ বিদেশমন্ত্রী দমিত্রি মেদভেদিয়েভ অভিযোগ করেছিলেন, “বিদায়কালে রুশ-বিদ্বেষী” মনোভাব নিয়েছেন ওবামা। তবে ট্রাম্পের আমলে একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাশিয়া প্রীতির ঘটনা। এমতাবস্থায় বাইডেন আমলে কি ফের ওবামার মতোই পরিস্থিতি আসে নাকি উন্নতি হয় দুই দেশের সম্পর্কে এটাই দেখার।