কথায় বলে পুরুষদের দাড়ি গোঁফ থাকা পুরুষত্বের লক্ষণ। যদিও বাঙালি পুরুষদের দাড়ির চেয়ে গোঁফ রাখারই প্রচলন বেশি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেও আলাদা আলাদা রকমের মানুষ পাওয়া যায় যারা অদ্ভুত দর্শন দাড়ি গোঁফ রাখেন। দেশের এক এক অঞ্চলে এক এক ধরণের দাড়ি গোঁফের প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়। ভারতে দাড়ি গোঁফকে পুরুষের সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। রাজস্থানের মানুষেদর যেমন দেখা যায় লম্বা লম্বা গোঁফের পাশাপাশি কানচাপা দাড়ি রাখতে, তেমনি আবার অনেক ভারতীয় মানুষকেই দেখা যায় চাপ দাড়ি রাখতে। বাঙলার অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও দেখা যেত নানা ধরণের দাড়ি গোঁফ রাখতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যেমন বুক পর্যন্ত দাড়ি ছিল আবার মাইকেল মধুসূদনকে আমরা দেখতে পাই কান পর্যন্ত বিদেশী ধারায় দাড়ি রাখতে।
আপনার আশেপাশে এমন লোক হাতে গোনাই পাওয়া যাবে, যারা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বড় দাড়ি গোঁফ রেখেছেন। কিন্তু আপনি কি এমন কোনও প্রতিযোগীতার কথা শুনেছেন, যেখানে সকলেই অংশ নিয়েছেন লম্বা লম্বা দাড়ি গোঁফ নিয়ে! সম্প্রতি চলতি বছরে জার্মানিতে দাড়ি গোঁফের একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন হয়েছিল। এই প্রতিযোগীতায় অদ্ভুত দর্শন মানুষদের দেখা গিয়েছে। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার জন্য জার্মানি ছাড়াও নেদারল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং ইজরায়েল থেকেও মানুষ এসেছিলেন। এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জার্মানির দক্ষিণ-পূর্বের এগিং ওম জে-তে। এই প্রতিযোগীতায় প্রায় ১০০জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন।
অস্ট্রিয়ার নার্বাট ডোপও জার্মান বিয়র্ড অ্যান্ড মুসটাস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১ এ অংশ নিতে এসেছিলেন। তার অদ্ভুত দর্শন দাড়ি গোঁফের জন্য তিনি মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। এতে শুধু প্রাকৃতিকভাবে ওঠা দাড়ি গোঁফওয়ালা মানুষই অংশ নেননি, বরং কিছু প্রতিযোগী তো দাঁড়ি গোঁফ ট্রিমও করিয়েও এসেছিলেন। এছাড়াও জেল লাগিয়ে দাড়ি গোঁফের অদ্ভুত দর্শন ডিজাইন করিয়েও এসেছিলেন প্রতিযোগীরা। খবর অনুযায়ী এই প্রতিযোগীতার আয়োজক হল ইস্ট বেভারিয়ান বিয়ার্ড অ্যান্ড মুসটাস ক্লাব (East Bavarian Beard and Moustache Club)। এই ক্লাবের সভাপতি ক্রিস্টিয়ান ফিচ (Christian Feicht) বলেছেন দাড়ির দেখভাল করা সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। এটাই পরোখ করার জন্য এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
যদিও এই প্রতিযোগীতায় যে কোনও দেশের নাগরিকই অংশ নিতে পারেন। কিন্তু যদি কাউকে এই চ্যাম্পিয়ানশিপ জিততে হয়, তাহলে তার জার্মান মুসটাস ক্লাবের সদস্য হওয়া বা তার জার্মানির নাগরিক হওয়া জরুরী। সাত বিচারকের একটি প্যানেল খেতাব জয়ীর সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: ভারতের এমন এক রেলস্টেশন, যেখানে যেতে লাগে পাকিস্তানের ভিসা!