Bangladesh News: ‘বাংলাদেশি ছেলেকে বিয়ে করুন’, বঙ্গ তনয়াকে ‘ভাল পাত্র’ খুঁজে দেওয়ার অফার বিমানবন্দরের এক আধিকারিকের
Bangladesh News: ঢাকা বিমানবন্দরে এক যুবতীকে ভাল পাত্রের পরামর্শ দিলেন এক আধিকারিক। এই বিষয়ে টুইট করেন ওই তনয়া।
ঢাকা: “আপনার মেয়ের বিয়ে হয়নি এখনও?” “এই কীরে! তোর এখনও বিয়ে হল না!” কোনও প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত মহিলা এখন রাস্তাতে বের হলেই হয়তো এই ধরনের কথা শোনা জল ভাত হয়ে গিয়েছে। আপনাকে, আমাকে বা অনেককেই এই ধরনের কথা শুনে থাকতে হয়েছে। যেন অবিবাহিত মহিলা দেখলেই পাড়া পড়শির পুরনো সখ, ঘটকালির কথা মনে পড়ে যায়। শুধু পাড়া নয়, কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠান, বিবাহ অনুষ্ঠানে অবিবাহিত মেয়ে বা ছেলের সম্বন্ধ করতে এগিয়ে আসেন একদল মানুষ। কিন্তু অনুষ্ঠান বাড়ি অবধি তাও ঠিক ছিল। এবার বিয়ের ঘটকালির প্রসঙ্গ উঠল বিমানবন্দরে! আর এক যুবতীর জন্য সঠিক পাত্র বাতলে দিতে এগিয়ে এলেন বিমানবন্দরের অভিবাসন আধিকারিক।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকা বিমানবন্দরের (Dhaka International Airport) ঘটনা। সেখানে এক অভিবাসন আধিকারিক নিজে থেকে এক যুবতীর জন্য উপযুক্ত পাত্রের পরামর্শ দিলেন। শুধু তাই নয়, যুবতীর ফোন নম্বর নিয়েছেন তিনি। এবং সেই যুবতী কোনও উপযুক্ত পাত্র পেলেন কি না তা পরে জানবেন বলেও জানিয়েছেন। এই ঘটনার ওই যুবতী নিজের টুইটার অ্য়াকাউন্টে শেয়ার করেছেন। আর এই টুইটই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ডঃ প্রিয়াঙ্কা বসু বর্তমানে লন্ডনে থাকেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে যোগ দেন। এছাড়া ওড়িশি নৃত্যেও পারদর্শী তিনি। ভারত, জাপান ও যুক্তরাজ্যে তিনি এই নৃত্য পরিবেশন করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা বসু টুইটারে লিখেছেন, “এক অভিবাসন আধিকারিক ঢাকা বিমানবন্দরে আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শুধু তাই নয়। তিনি আমার বাবা-মা, আমার বৈবাহিক অবস্থা, আমার কাজের বিষয়ে খোঁজ খবর করেন। এসব জানার পর তিনি আমাকে একজন বাংলাদেশি ছেলেকে খুঁজে বিয়ে করতে বলেন এবং ঢাকায় সংসার শুরু করতে বলেন।” প্রিয়াঙ্কা আরও লিখেছেন, “তিনি আমার স্থানীয় ফোন নম্বরও লিখে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, কোনও যথাযথ পাত্র পেলে তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।” এদিকে এই টুইট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যুবতীর টুইটের কমেন্ট সেকশনে হাসির বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনেকে আধিকারিকের এই পরামর্শের সমালোচনাও করেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী কমেন্টে লিখেছেন, “জানতাম না এটা তাঁদের কাজের মধ্যে পড়ে।” আরেকজন লিখেছেন, “ওহ বাবা! সকাল থেকে যা পড়েছি তার মধ্যে সবথেকে মজার বিষয় ছিল এটা।”