কিয়েভ: নিজের কথা নিজেই রাখলেন না পুতিন। খ্রিস্টমাস উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে বদলে গেল চিত্র। একের পর এক রুশ মিসাইল আছড়ে পড়ল ইউক্রেনের উপরে। উৎসবের মরশুম উপলক্ষেই ৩৬ ঘণ্টার জন্য, ৬ ও ৭ জানুয়ারি যুদ্ধ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই পূর্ব ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এই হামলার পরই ক্রেমলিনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই ঘোষণা করেন যে খ্রিস্টমাস উপলক্ষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের বহু খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীরা ৬ ও ৭ জানুয়ারি খ্রিস্টমাস পালন করেন, তাই এই দুটি দিনের জন্য ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন পুতিন। তবে ৩৬ ঘণ্টা পার হওয়া তো দর, পুতিনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে বেজে ওঠে সাইরেন। জানান দেওয়া হয়, এয়ারস্ট্রাইক চালাচ্ছে রাশিয়া। জানা গিয়েছে, মূলত পূর্ব ইউক্রেনেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একের পর এক মিসাইল বর্ষণ করা হয়েছে।
এই হামলার পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, “যুদ্ধবিরতি একটা অজুহাত ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে রাশিয়া ডনবাস অ়ঞ্চলে নিজেদের সেনা মোতায়েন করতে এবং অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর জন্য খ্রিস্টমাসে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে যাতে আমাদের আরও কাছে আসা যায়।”
জ়েলেনস্কির এই মন্তব্যের সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গলাতেও। তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত আগ্রহের বিষয় যে এই পুতিনই হাসপাতাল, চার্চ থেকে শুরু করে বাচ্চাদের স্কুলে মিসাইল বর্ষণ করতে চেয়েছিল খ্রিস্টনমাস ও নববর্ষে। আমার মনে হয়, পুতিন একটু অক্সিজেন খোঁজার চেষ্টা করছে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। বছর পার হতে চললেও যুদ্ধ থামার নাম নেই।