ওয়াশিংটন: ২ মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) চলছে। দুই দেশের শীর্ষস্তরের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হলেও যুদ্ধ থামার কোনও নাম নেই। রাশিয়া কোনওভাবেই ইউক্রেনের মাটি থেকে সরে আসতে রাজি নয়। সামরিক শক্তিতে অনেকেটাই পিছিয়ে থাকলেও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) নেতৃত্বে দাঁতে দাঁত চেপে রাশিয়ার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। অসংখ্য সাধারণ ইউক্রেনবাসী প্রেসিডেন্টের আবেদনে সাড়া দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর আগে ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকার মতো পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিলেও কার্যক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা যায়নি। তবে এই দেশগুলি অস্ত্রশস্ত্র থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। রাশিয়াকে কাবু করতে ইউক্রেনের হাতে এবার অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দিতে চলেছে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই অস্ত্র তৈরি করে ফেলা হয়েছে। ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ নামের অত্যাধুনিক আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করেছে আমেরিকা। ইউক্রেন সেনাকে শক্তিশালী করতে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিস ওয়াশিংটন। সেই সাহায্যের আওতায় এই ড্রোনও তৈরি করে ইউক্রেনে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
‘ফিনিক্স ঘোস্ট’-এর বিশেষত্ব
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ইভেক্স অ্যারোস্পেস নামের এক সংস্থা এই ধরনের ড্রোনগুলি তৈরি করেছে। প্রধানত পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই করার জন্য এই ড্রোনগুলি তৈরি করা হয়েছে। সমতল ও তুলনামূলকভাবে খোল ডনবাসে এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হবে। এই ড্রোনগুলির বিশেষত্ব সম্পর্কে খোলসা করে কিছু না বলে বৃহস্পতিবার কিরবি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ড্রোনের ক্ষমতা এতটাই যা কল্পনাও করা যাবে না এবং ডনবাসের মতো ভূখণ্ডে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে এইগুলিকে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে কিরবি জানিয়েছেন ফিনিক্স ঘোস্ট আসলে ‘আক্রমণাত্মক ড্রোন’, এবং ড্রোনগুলি একমুখী। বিশেষ কারণের জন্যই এইগুলি তৈরি করা হয়েছে। তবে কিরবি জানিয়েছেন, ড্রোনগুলি এখনও ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।