কিয়েভ: এক মাসের দিকে গড়াতে শুরু করেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের উপরে হামলাও বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া(Russia)। এবার রাসায়নিক আক্রমণ (Chemical Attack) নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করল ন্যাটো (NATO)। মঙ্গলবারই ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক শুরুর আগেই ন্যাটোর সাধারণ সম্পাদক জেন্স স্টোল্টেনবার্গ জানান যে,ইউক্রেন(Ukraine)-র উপরে যেকোনও মুহূর্তেই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই বিষয় নিয়ে ন্যাটো যথেষ্ট উগ্বিগ্ন।
এর আগে গত সপ্তাহেই রাশিয়া অভিযোগ করেছিল, ইউক্রেন দেশের অন্দরেই জৈব অস্ত্র তৈরি করছে। তাদের এই কাজে মদত দিচ্ছে আমেরিকা। যদিও দুই দেশের তরফেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। উল্টে রাশিয়ার উপরই রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টার অভিযোগ আনে ইউক্রেন। মঙ্গলবার ন্যাটোর বৈঠক শুরুর আগে জোট সংগঠনের প্রধান ইউক্রেনের দাবিকেই মান্যতা দিয়ে বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে মস্কো ভুয়ো অভিযানের আড়ালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেনের উপরে। আমরা এই ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। যদি রাশিয়া হামলা চালায়, তবে তাদের ভারী মূল্য চোকাতে হবে কারণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তারা হামলা চালাতে পারে না।”
ইউক্রেনের কাছে জৈব অস্ত্র ভাণ্ডার থাকার জল্পনা যেমন উড়িয়ে দেন তিনি, তেমনই মস্কো রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালালে ন্যাটোর সামরিক বাহিনী পাল্টা জবাব দেবে কিনা, সেই বিষয়েও মুখ খুলতে নারাজ হন সংগঠনের প্রধান। রাশিয়ার বিনা কারণে যুদ্ধ শুরুর জেরে যে বিপদের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়, সেই বিষয়েই আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে।
রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই ন্যাটো বাহিনী পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রয়োজন অনুযায়ী সেনার সংখ্যা আরও বাড়ানো এবং আরও সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর কথাই আলোচনা করা হয়। যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থার কথা চিন্তা করেও যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলা হয়েছে। আগামী জুন মাসে মাদ্রিদে ন্যাটোর সম্মেলন হতে চলেছে। ওই বৈঠকে ন্যাটোর সদস্যদেশ ও জোটের দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।