Sri Lanka Paper Shortage: খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস বদলে যাবে! আজব কারণে আর প্রকাশিত হবে না সংবাদপত্র

Newspaper: শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান দুটি সংবাদপত্র তাদের মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কাগজের অভাবের কারণেই এবার শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ওই দুই সংবাদপত্রের মালিকরা।

Sri Lanka Paper Shortage: খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস বদলে যাবে! আজব কারণে আর প্রকাশিত হবে না সংবাদপত্র
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 7:47 PM

কলোম্বো: দেশে-বিদেশের খবর জানা এবং সেই নিয়ে চর্চা অনেকটা নেশার মতো। তাই তো আজও প্রযুক্তির এই অগ্রগতির সময়ে যখন স্মার্টফোনের এক টাচেই যাবতীয় খবর চলে আসে তখনও সংবাদপত্র একেবারের বন্ধ হয়ে যায়নি। পাড়ার চায়ের দোকান হোক বা ক্লাব, সংবাদপত্র পাঠ (Newspaper Reading) এখনও নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এমন অনেকেই আছেন, যাদের দিনের শুরুটাই হয় এক কাপ চা ও সংবাদপত্র হাতে। কিন্তু এই সংবাদপত্রের ওপরই এবার বড়সড় খাঁড়া নামতে চলেছে। সম্ভবত আর খবরের কাগজ প্রকাশিত হবে না। সংবাদপত্রের যাবতীয় পাঠকরা সংবাদপাঠ থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে আমাদের দেশে এখনও এই দুঃসময়ের মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কাতে (Srilanka) এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান দুটি সংবাদপত্র তাদের মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কাগজের অভাবের কারণেই এবার শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ওই দুই সংবাদপত্রের মালিকরা। চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে ভারতের প্রতিবেশি এই দেশের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সেদেশে এই রকম পরিস্থিতি আগে কখনও তৈরি হয়নি। শ্রীলঙ্কার ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য আইল্যান্ড এবং তারই সিংহলী মুদ্রণ এখন থেকে সংবাদপত্রের আকারে প্রকাশিত হবে না। তবে হ্যাঁ পাঠকরা চাইলে এই দুই সংবাদপত্র অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারে। কাগজের অভাবের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য সংবাদপত্রগুলিও তাদের মুদ্রিত সংস্করণে পৃষ্ঠার সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছে।

কাগজের অভাবের কারণে গত সপ্তাহেই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রায় ৪৫ লক্ষ পড়ুয়াদের মধ্যে ৩০ লক্ষ পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কাগজের অভাবের কারণেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। “স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে কাগজ ও কালি আমাদানি করতে পারছে না, ফলে প্রশ্নপত্র ছাপানোও মুশকিল হচ্ছে।” এমনটাই জানিয়েছিল পশ্চিমী প্রদেশের শিক্ষা দফতর। সরকারি সূত্র সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ৪৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশের পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে গিয়েছে। এখন ভারতে এই প্রতিবেশি দেশ অর্থনৈতিক এই বিপদ কী ভাবে মোকাবিলা করে সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আরও পড়ুন India-China Discussion: ‘সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই চিনে যাব’, জিনপিংয়ের মন্ত্রীকে সাফ জানালেন ডোভাল