Royal Bengal Tiger: সবে পা দিয়েছিলেন খাঁড়িতে, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এক লাফ রয়্যাল বেঙ্গলের, মুহূর্তে খুবলে খেল মৎস্যজীবীকে
Sundarban: পরিবার সূত্রে খবর, বর্ণধরের বাড়িতে স্ত্রী,সাত বছরের মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবা আছে। সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বর্ণধর। জীবিকার কারণে বৃহস্পতিবার আটটা নাগাদ কাঁকড়া ধরার জন্য রওনা দেন তিনি। নিয়মিত কাঁকড়া ধরার জন্য যেতেন।
বৈকুণ্ঠপুর: কুলতলির একদিক যখন কাঁপছে বাঘের আতঙ্কে। সেই সময় এল মর্মান্তিক খবর। কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি ঘটেছে বৈঠভাঙির জঙ্গলে। মৃতের নাম বর্ণধর মণ্ডল (২২)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ণধর সহ ওই এলাকারই পাঁচজন কাঁকড়া ধরার জন্য জঙ্গলে যান। নৌকা থেকে কাঁকড়া ধরতে যেই না খাঁড়িতে নামেন, অমনি জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা একটি বাঘ এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর। সঙ্গীরা বাঘের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তবে প্রাণে বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
পরিবার সূত্রে খবর, বর্ণধরের বাড়িতে স্ত্রী,সাত বছরের মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবা আছে। সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বর্ণধর। জীবিকার কারণে বৃহস্পতিবার আটটা নাগাদ কাঁকড়া ধরার জন্য রওনা দেন তিনি। নিয়মিত কাঁকড়া ধরার জন্য যেতেন। বাঘের হামলার পর সঙ্গীরা লাঠিসোটা নিয়ে বাঘের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মানুষ ও বাঘের লড়াই হলে শেষে বাঘটি ওই মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেয়। নৌকায় করে বাড়িতে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। দেহটি আপাতত কুলতুলি ব্ললের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করেছে বনদফতর।
আনন্দ গাড়ু নামে বর্ণধরের সঙ্গে যাওয়া মৎস্যজীবী বলেন, “আজ সকাল আটটার দিকে গিয়েছিলাম কাঁকড়া ধরতে। খাঁড়িতে নেমেছি। সঙ্গে-সঙ্গে দেখছি ঝাঁপিয়ে পড়ল ওর উপর। আমরা লাঠি নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি ওকে বাঁচাতে কিন্তু পারিনি।”