AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jaishankar-Blinken: উঠলই না কানাডার কথা, আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা করলেন জয়শঙ্কর?

S Jaishankar's meeting with Anthony Blinken: বৃহস্পতিবার, জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে এই বিষয়টি উঠতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। ভারত-মার্কিন সম্পর্কে এই ঘটনার কুপ্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেনের আলোচনায় উঠে এসেছে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের ফলাফল, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির মতো বিষয়।

Jaishankar-Blinken: উঠলই না কানাডার কথা, আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা করলেন জয়শঙ্কর?
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্করImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2023 | 8:53 AM
Share

ওয়াশিংটন: কানাডার সঙ্গে চরম কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে, বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর), মার্কুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, খালিস্তানি সন্ত্রাসবদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে কানাডা, সেই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোনও কথাই হয়নি। বৈঠকে দুজনেই এই বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে জানানো হয়েছিল, মার্কিন গোয়েন্দারাও হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার বিষয়ে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে কানাডাকে। গত জুন মাসে, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারেতে, এক গুরুদ্বারের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল হরদীপ সিং নিজ্জরকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বারবার অভিযোগ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ভারত সরকারের এজেন্টদের সম্ভাব্য হাত রয়েছে।

ভারত সরকার আগেই নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে, কানাডার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে স্পষ্ট জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশিয় রাজনীতির স্বার্থেই ট্রুডো এই গুরুতর অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। আরও বলা হয়েছিল, ট্রুডো শুধু ফাঁকা অভিযোগই করেছেন, কিন্তু, এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ দেননি। এস জয়শঙ্কর অবশ্য কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, নিজ্জরের হত্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করা হলে, ভারত বিষয়টির তদন্ত করবে।

বৃহস্পতিবার, জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে এই বিষয়টি উঠতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। ভারত-মার্কিন সম্পর্কে এই ঘটনার কুপ্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেনের আলোচনায় উঠে এসেছে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের ফলাফল, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির মতো বিষয়। সংবাদমাধ্যকে জয়শঙ্কর বলেছেন, “এখানে ফিরে এসে ভালো লাগছে। গ্রীষ্মে এখানে এসেছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ দিতে চাই।” অন্যদিকে, ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময়, ভারতের সঙ্গে তাঁর ‘খুব ভাল আলোচনা’ হয়েছে। তবে, ভারত বা আমেরিকা কোনও পক্ষই সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। ব্লিঙ্কেনকে কতানাডার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জবাব দিতে অস্বীকার করেন।

পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময়, দুই দেশের মধ্যে যে বিষয়গুলির ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা হয়েছিল, তাকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং পরিচ্ছন্ন শক্তির ক্ষেত্রে দুই দেশ আরও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয়ে মত বিনিময় করেছেন তাঁরা। শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে ২+২ আলোচনা হবে। অর্থাৎ, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিদেশমন্ত্রীরা একসঙ্গে বৈঠকে বসবেন।