Nuclear war: ‘এই যুদ্ধে কেউ জিতবে না, আর করাও উচিত নয়’: রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন

Vladimir Putin on nuclear war: পারমাণবিক যুদ্ধ হলে কেউ বিজয়ী হবে না, এবং এই ধরনের যুদ্ধ শুরু করা উচিত নয়। সোমবার (১ আগস্ট) নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি বা এনপিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি একটি চিঠিতে এই মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

Nuclear war: 'এই যুদ্ধে কেউ জিতবে না, আর করাও উচিত নয়': রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন
এনপিটি সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের গলায় অন্য সুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 3:08 PM

মস্কো: পারমাণবিক যুদ্ধ হলে কেউ বিজয়ী হবে না, এবং এই ধরনের যুদ্ধ শুরু করা উচিত নয়। সোমবার (১ আগস্ট) নিউইয়র্কে চলতি নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি বা এনপিটি শীর্ষ সম্মেলনে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রয়টার্স রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বলেছেন, “পারমাণবিক যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হতে পারে না, আমরা এই সত্য এড়িয়ে যাচ্ছি। এট কখনই শুরু করা উচিত নয় এবং আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের জন্য সমান এবং অবিভাজ্য সুরক্ষার পক্ষে।”

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে পুতিনের প্রায় প্রতিটি কথায় পশ্চিমী দেশগুলির জন্য পারমাণবিক হুমকির গন্ধ পাওয়া যেত, তার পুরো বিপরীত অবস্থান নিলেন তিনি। এনপিটি শীর্ষ সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে, অনেকটাই প্রশান্তির ছাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি রাশিয়াকে একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তি হিসাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

তবে, তারপরও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। সহজেই ইউক্রেন বিজয় করা যাবে বলে ভেবেছিল ক্রেমলিন। কিন্তু, পশ্চিমী শক্তিগুলির সহায়তায় ইউক্রেন যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাতে চাপে পড়লে রাশিয়া “কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা কম ক্ষতিকর পারমাণবিক অস্ত্র অবলম্বন করতে পারে”, এমনটাই মনে করছেন সিআইএ-র ডিরেক্টর উইলিয়ামস বার্নস। বিশেষ করে, তাঁর মতে রাশিয়ার মনে করে পশ্চিমী শক্তিগুলি মস্কোর বিরুদ্ধে একটি ছায়াযুদ্ধ করছে। যা রাশিয়া রাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তাই তারা পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘন না করেই পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে পারে।

২০২৬ সালেই পরমাণু চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বদলে, পারমাণবিক অস্ত্র সীমাবদ্ধতা সংক্রান্ত অন্য একটি চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, সেই বিষয়ে ক্রেমলিন মাথাই ঘামাচ্ছে না। বরং, সোমবার (১ অগস্ট) রুশ বিদেশ মন্ত্রকের এক সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, আগামী গ্রীষ্মের শেষদিকে তারা তাদের নতুন ‘সম্রাট’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা করা হবে। তার কয়েক মাস পরই অস্ত্রগুলি রুশ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রাশিয়া থেকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে।

অন্যদিকে আবার, রবিবার (৩১ জুলাই) ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন, কয়েক মাসের মধ্যেই রুশ নৌবাহিনীকে অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ‘জিরকন’ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা হবে। এই মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতি ঘন্টায় ৭,০০০ মাইল গতিতে ছুটে যায় লক্ষ্যবস্তুর দিকে। পুতিনের দাবি সত্যি হলে, শীঘ্রই রুশ যুদ্ধজাহাজগুলিতে এই ভয়ঙ্কর রকেট যুক্ত হবে। রুশ নৌবাহিনী এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পুতিন জানিয়েছেন, অ্যাডমিরাল গোর্শকভ ফ্রিগেটে প্রথম এই ভয়ঙ্কর অস্ত্র মোতায়েন করা হবে।