Narendra Modi in Bangladesh: করোনামুক্তিতে যশোরেশ্বরী দেবীর চরণে, সম্পর্ক মজবুতে পুঁতলেন চারাগাছ

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 27, 2021 | 12:37 PM

যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন, "সমগ্র বিশ্ব যাতে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পায়, তার জন্য প্রার্থনা করেছি আমি।"

Narendra Modi in Bangladesh: করোনামুক্তিতে যশোরেশ্বরী দেবীর চরণে, সম্পর্ক মজবুতে পুঁতলেন চারাগাছ
যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি:ANI

Follow Us

ঢাকা: যশোরেশ্বরী দেবীর কাছে করোনামুক্তির করোনামুক্তির প্রার্থনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে প্রতিবেশী দেশে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালেই তিনি পৌঁছে যান ঈশ্বরীপুরে। সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী কালি মন্দিরে পুজো দেন, নিজের হাতেই মা কালি মাথায় রুপোর উপর সোনার প্রলেপ দেওয়া মুকুটও পরিয়ে দেন।

করোনাকালে এটিই প্রথম বিদেশ সফর প্রধানমন্ত্রীর। গতকাল সকালেই বাংলাদেশে পৌছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। সেখান থেকে নানা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাঁরা। বিকেলে বাংলাদেশের প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রশংসা করেন। নিজেও মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেলে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

দ্বিতীয় দিনের সফরেও একইরকমের উত্তেজনা ধরা পড়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। সকালেই তিনি যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে (Jeshoreshwari temple) পুজো দেন। ৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম এই পীঠে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি রুপোর মুকুটও উৎসর্গ করেন। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে হাতে তৈরি এই রুপোর মুকুট নিজের হাতেই বিগ্রহে পরিয়ে দেন তিনি। মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “সমস্ত বিশ্ব যেন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পায়, তার জন্য প্রার্থনা করেছি আমি।”

আরও পড়ুন: Narendra Modi in Bangladesh: ‘মুক্তিযুদ্ধে সত্যাগ্রহ করে জেল খেটেছি’, বাংলাদেশে স্মৃতিমেদুর মোদী

একইসঙ্গে তিনি জানান, কালী পুজোর সময় দুই দেশের প্রচুর পুণ্যার্থী আসেন পুজো দিতে। বিরাট মেলা বসে। আমার মনে হয়, এখানে একটি কমিউনিটি হলের প্রয়োজন। এতে একদিকে যেমন পুজোর সময় পুণ্যার্থীরা আসতে পারবেন, তেমনই বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই হল। সাইক্লোনের মতো বিপর্যয়ের সময়ও এটি ত্রাণশিবির হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। ভারত সরকার এই কমিউনিটি হল তৈরি করার কাজ করবেন।

যশোরেশ্বরী মন্দির থেকেই প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপারায় পৌঁছে যান। সেখানে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর হাতে একটি চারাগাছ তুলে দেন। বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সেই মোদী সেই চারাগাছ রোপণ করেন। ভিজিটর বুকেও সাক্ষর করেন তিনি।

এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন ওড়াকান্দিতে। সেখানে মতুয়াদের মন্দিরে যাবেন মোদী। মতুয়া ধর্মের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুর এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মন্দির পরিদর্শনের পর মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: রেললাইনে গোলমাল, দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত কমপক্ষে ৩২

Next Article