Narendra Modi in Bangladesh: ‘মুক্তিযুদ্ধে সত্যাগ্রহ করে জেল খেটেছি’, বাংলাদেশে স্মৃতিমেদুর মোদী
মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের প্রশংসা করলেন। তারই সঙ্গে মোদী জানালেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনিও।
ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিবের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনে দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে মোদীকে আপন করে নিয়েছে ওপার বাংলা। প্রথমে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করলেন নমো। সেই বক্তব্যে উঠে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমানে দুই দেশের এগিয়ে চলার প্রসঙ্গও।
মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের প্রশংসা করলেন। তারই সঙ্গে মোদী জানালেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনিও। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর জীবনে প্রথম আন্দোলনগুলির অন্যতম হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১-এর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার বয়স তখন ২০-২২। আমি ও আমার বন্ধুরা ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সত্যাগ্রহে সামিল হয়েছিলাম। তার জন্য আমার জেলে যাওয়ারও সৌভাগ্য হয়েছিল।”
নরেন্দ্র মোদী কঠোর নিন্দা করেন, পাকিস্তানের নির্য়াতনের। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা যে অত্যাচার করেছে, সে ছবি দেখে আমি অনেকদিন ঘুমোতে পারিনি।” মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনীর যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদেরও সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যাঁরা আমরা তোমাদের ভুলব না।”
মোদীর সম্মান জানালেন ভাষা শহিদদেরও। তিনি বলেন, “যাঁরা দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করছি। স্মরণ করছি মুক্তিযোদ্ধাদের, ভাষা শহিদদের। ভারতীয় সেনাদেরও স্মরণ করছি, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন। তাঁরাও মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের রক্ত দিয়েছেন।” কার্যত ভারত ও বাংলাদেশকে উন্নয়নের একই মাত্রায় রেখে লক্ষ্য স্থির করে দিলেন তিনি। মোদী বলেন, “সামনের ২৫ বছরের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য ও বাধা একই। সন্ত্রাসবাদের মতো বিপদও আছে। তবে সব অতিক্রম করে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।” সব মিলিয়ে ‘মুজিব চিরন্তনের’ পালে বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রীর হাওয়া লাগিয়ে মোদী ফের বোঝালেন ভারতের প্রতিবেশী নীতির ভিত্তিই বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: প্রশংসা ইন্দিরার, মোদী বললেন, ‘জয় বাংলা’