Bangladesh: হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস, কীভাবে পালন করবে ইউনুসের বাংলাদেশ?
Bangladesh: ৫ অগস্ট, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা দাবি করেছিল, সেটা নাকি বাংলাদেশের তৃতীয় স্বাধীনতা। বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, সেই ঘটনার একমাস পূর্ণ হতে চলেছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছে আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'। কীভাবে?
ঢাকা: দেখতে দেখতে একটা মাস কেটে গেল। ৫ অগস্ট, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা দাবি করেছিল, সেটা নাকি বাংলাদেশের তৃতীয় স্বাধীনতা। বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, সেই ঘটনার একমাস পূর্ণ হতে চলেছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছে আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। কীভাবে উদযাপন করা হবে হাসিনার শাসন থেকে মুক্তি? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা ‘শহিদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সাংবাদিক সম্মেলনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সারজিস বলেন, “আগামীকাল বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহিদি মার্চ করতে চাই। সারা দেশে ইউনিয়ন থেকে মহানগর – সব পর্যায়ে শহিদদের স্মৃতি ধারণ করে, আহত ভাইবোন যারা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, যে ভাইবোনেরা হাত-পা-চোখ হারিয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।”
সারজিস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হবে শহিদি মার্চ। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের শুরুতে, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে চেয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। শুধু পুলিশ নয়, ছাত্রলিগ, যুবলিগ-সহ আওয়ামি লিগের বিভিন্ন শাখা সংগঠনও আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তবে পিছু হটেননি আন্দোলনকারীরা। জুলাইয়ের শেষে এই আন্দোলন থেকে হাসিনার পদত্যাগ দাবি করা হয়। শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলনও। ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেন আমজনতাও। ছাত্র-জনতার এই তীব্র আন্দোলনের মুখে, ৫ অগস্ট, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। অবসান ঘটে আওয়ামি লিগের একটানা প্রায় ১৫ বছরের শাসনের।