ইসলামাবাদ: বেশ কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ইমরান খানকে পাকিস্তানের মসনদ থেকে সরাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল বিরোধীরা। সেই মত ২৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় সংসদে ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। ৩ এপ্রিল অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও মোক্ষম চাল দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ইমরান এবং দেশে নতুন করে নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রস্তাবে সায় দিয়ে অনাস্থা ভোট বাতিল করে দেয় সংসদের অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল বিরোধীরা। বিরোধীদের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট (Pakistan Supreme Court) জানিয়ে দেয়, ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ফেরানো যাবে না, আগামী ৯ এপ্রিল পাক সংসদে অনাস্থা ভোট হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশই দিয়েছিল সে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ইমরানের। শুক্রবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনের পথকেই বেছে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে তিনি দেশের সাধারণ জনগণকে রাস্তায় নামার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ‘বিদেশী সরকার’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন আরও একবার ইমরান দাবি করেন, বিদেশি শক্তি তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একজন ‘কাঠের পুতল’-কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে চাইছে। এদিন সরাসরি আমেরিকার দিকে আঙুল তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি মার্কিন কূটনীতিকরা আমাদের লোকেদের সঙ্গে দেখা করছেন। এরপরই আমরা তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।” ইমরান জানিয়েছে তাঁর কাছে এই নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে, তবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সবটা প্রকাশ্যে আনছেন না।
এদিন অনাস্থা ভোট নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এদিন বিরোধীদের পাশাপাশি দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিকেও নিশানা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। দেশের সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়েও যে তিনি হতাশ সেই কথাও এদিন জানিয়েছন পাক প্রধানমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামিকাল সংসদে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা। ইমরানের কাছে ভোট জেতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই। কোনও জাদুবলে তিনি সরকার ধরে রাখতে পারেন কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Bangladesh News: বাইক কেনার ইচ্ছে ছিল যুবকের, শখ পূরণে প্রেমিকার সঙ্গে সে যা করল…