Pakistan father shot daughter: ভিডিয়ো ভাইরাল হতে মেয়েকেই খুন করলেন বাবা, সহ্য হল না প্রতিবেশিদের কটাক্ষ
Pakistan father shot daughter: এই ঘটনার নেপথ্যে আছে প্রেমে ব্যর্থ এক ব্যক্তির নির্মম প্রতিশোধের কাহিনি। ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে হাসি-ঠাট্টা শুরু হয়েছিল পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যে।
ইসলামাবাদ: মেয়ের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করছে পাড়া প্রতিবেশিরা। সেই রাগে ১৮ বছরের কন্যাকে নিজেই গুলি করে হত্যা করলেন তাঁর বাবা (Pakistan father shot daughter)। মর্মান্তিক ঘটনার খবর এল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ভানো ঘারি গ্রাম থেকে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২২ জানুয়ারি)। আর এই ঘটনার নেপথ্যে আছে প্রেমে ব্যর্থ এক ব্যক্তির নির্মম প্রতিশোধের কাহিনি।
নিহত মেয়েটির মা জানিয়েছে, ইসলামাবাদে এক ধনী পরিবারে পরিচারিকার কাজ করত ১৮ বছরের যুবতী। ওই বাড়িতে কাজ করত এক যুবকও। সম্প্রতি ওই যুবক তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই অন্যত্র তাঁর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তাই মেয়েটি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ওই যুবক বিষয়টা ভালভাবে নেয়নি। নানাভাবে মেয়েটিকে ভয় দেখাতে শুরু করে সে। তাতেও কাজ না হওয়ায়, এক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মেয়েটির একটি নাচের ভিডিয়ো সে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। ভিডিয়োটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং তা নিয়ে পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা শুরু হয়েছিল। যা কানে যায় তার বাবা বক্তিয়ার গুলেরও।
মায়ের দাবি, গত রবিবার প্রতিবেশিদের একজন তাঁর মেয়ের নাচের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে বক্তিয়ার গুলের সঙ্গে রসিকতা করে। তাতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। বাড়িতে সেই সময় তাঁর আরেক মেয়ে এবং জামাই উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনেই ঘর থেকে পিস্তল নিয়ে এসে নিজের মেয়ের উপরই গুলি চালান বক্তিয়ার। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। যে যুবক ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
গত বছরও বাবার হাতে মেয়ের হত্যার প্রায় একই রকম একটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল পাকিস্তানের চারসদ্দা জেলায় এক চার বছরের কন্যাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল তারই বাবার বিরুদ্ধে। ওই কন্যা সন্তান তাঁর নয়, স্ত্রীর কোনও অবৈধ সম্পর্কের সন্তান বলে সন্দেহ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বিয়ের অল্প সময় পরই ওই সন্তানের জন্ম হওয়ায়, ওই ব্যক্তির মনে এই সন্দেহ ঢুকিয়েছিলেন পাড়া-প্রতিবেশিরাই। এই নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পরই, রেগে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।