লাহোর: তাঁর নামে রয়েছে কমপক্ষে ১২১টি মামলা। সম্প্রতিই জমি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে। আদালত চত্বর থেকেই ন্যাবের হাতে গ্রেফতার হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে দুই দিন জেলে থাকার পরই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ইমরান খান। আর তারপরই দেশের সরকার ও সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন তিনি। আজ, সোমবার সকালেও ‘বোমা’ ফাটালেন ইমরান খান (Imran Khan)। দাবি করলেন, তাঁকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য সেনা বাহিনী (Army)পরিকল্পনা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে আগমী ১০ বছর জেলবন্দি করে রাখার পরিকল্পনা সেনার।
সোমবার সকালেই একের পর এক টুইট করতে থাকেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান। সেই টুইটেই তিনি পাক সরকার ও সেনার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। একাধিক টুইটে তিনি বলেন, “লন্ডন প্ল্যান সম্পূর্ণ সামনে চলে এসেছে। আমি জেলে থাকাকালীন যে হিংসা ছড়িয়েছে, তার নাম করেই আমায় অপমানিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশদ্রোহিতার কোনও অভিযোগ এনে বুশরা বেগমকে (ইমরান খানের স্ত্রী) জেলে ভরে আমায় অপদস্থ করার ছক কষা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে আগামী ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর ছক কষা হয়েছে।”
৭০ বছর বয়সী পিটিআই নেতা আরও বলেন, “যাতে জনতার মধ্য়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না তৈরি হয়, তার জন্য দুটি কাজ করেছে। প্রথম, ইচ্ছাকৃতভাবে সন্ত্রাস ছড়ানো। শুধুমাত্র পিটিআই কর্মীদের উপরে নয়, সাধারণ মানুষদের উপরেও হামলা চালানো হয়েছে। দ্বিতীয়, সংবাদমাধ্য়মকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।”
ইমরান খান বলেন, “সাধারণ মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামিকাল যদি ওরা আমায় গ্রেফতার করতে আসে, তাহলে সাধারণ মানুষ আর বেরিয়ে আসবে না। আগামিদিনে ওরা আবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেবে, সোশ্য়াল মিডিয়া ব্য়ান করে দেবে। এই মুহূর্তে আমি যখন কথা বলছি, তখনও বাড়ি ভাঙা হচ্ছে এবং পুলিশ নির্লজ্জের মতো মহিলাদের উপরে অত্যাচার করছে। পাকিস্তানের মানুষদের আমি বলতে চাই, আমি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু অবধি লড়াই করে যাব।”