ইসলামাবাদ: আরও বিপাকে পড়লেন ইমরান খান (Imran Khan)। অনাস্থা প্রস্তাবে (No Trust Motion) আলোচনা বা ভোটাভুটি শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল শাসক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf)। জোটসঙ্গী মুত্তেহিদা কাওয়ামি মুভমেন্ট পাকিস্তান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের টলমল অর্থনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সকলে। বিরোধীদের দাবি, দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি-কিছুই তিনি সামলাতে পারছেন না। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি শাসক দলের একাধিক সদস্যদেরও দাবি, দেশ সামলাতে ব্যর্থ ইমরান খান। অন্যদিকে, পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক নেই ইমরান খানের, এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিন সকালেই পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জ়ারদারি টুইট করে বলেন, “বিরোধী দলগুলি এমকিউএমের সঙ্গে চুক্তি করেছে। রাবতা কমিটি এমকিউএম ও পিপিপি সিইসি পরবর্তী সময়ে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাবে। এরপর আমরা আগামিকাল সাংবাদিক বৈঠকে বিস্তারিত তথ্য জানাব। আপাতত পাকিস্তানকে অভিনন্দন।”
The united opposition and MQM have reached an agreement. Rabta committee MQM & PPP CEC will ratify said agreement. We will then share details with the media in a press conference tomorrow IA. Congratulations Pakistan.
— BilawalBhuttoZardari (@BBhuttoZardari) March 29, 2022
মুত্তেহিদা কাওয়ামির সমর্থন হারানোর ইমরানের দল সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিলই সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটি রয়েছে। বর্তমানে সংসদে ইমরানের দলের সদস্য সংখ্যা ১৫৫। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা ১৭৭-এ পৌঁছেছে এমকিউএমের সমর্থন বদলানোয়। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীদের জয়লাভের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি ভোট। সেই হিসাবে ইতিমধ্যেই ভোটে বিরোধীদের জয় প্রায় নিশ্চিত। অর্থাৎ গদি ছাড়তেই হবে ইমরান খানকে।
এদিকে, ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে বিদেশ থেকেও তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতিই ইসলামাবাদে একটি জনসভায় তিনি দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের মসনদ থেকে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে হটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর কাছে বিদেশ থেকে আসা অর্থ সাহায্যের প্রমাণও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইমরান খান হলেন পাকিস্তানের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনও প্রধানমন্ত্রীকেই অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে গদিচ্যুত হতে হয়নি। আগামিকাল, ৩১ মার্চ পাকিস্তানের নিম্নকক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হবে।
আরও পড়ুন: Pakistan Attack: টলোমলো পরিস্থিতিতেই আত্মঘাতী হামলায় কেঁপে উঠল পেশোয়ার, আহত কমপক্ষে ২২
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Talk: ‘ন্যাটোর সদস্যপদ চাই না, বরং…’, রাশিয়ার মতোই এবার একাধিক দাবি জানাল ইউক্রেনও