Russia-Ukraine Talk: ‘ন্যাটোর সদস্যপদ চাই না, বরং…’, রাশিয়ার মতোই এবার একাধিক দাবি জানাল ইউক্রেনও

Russia-Ukraine Talk: মঙ্গলবারের বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার গ্যারান্টার হিসাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নাম সুপারিশ করা হচ্ছে।

Russia-Ukraine Talk: 'ন্যাটোর সদস্যপদ চাই না, বরং...', রাশিয়ার মতোই এবার একাধিক দাবি জানাল ইউক্রেনও
তুরস্কে বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 8:05 AM

ইস্তানবুল: ধীরে ধীরে বরফ গলছে। যুদ্ধ থামাতে দফায় দফায় বৈঠকে বসছে রাশিয়া ও ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict)। আলোচনায় সমাধানসূত্রও খোঁজার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবারই তুরস্কে (Turkey) রাশিয়া ও ইউক্রেনের বৈঠকে দুই দেশের মুখোমুখি আলোচনা নিয়ে কথা এগোয়। একইসঙ্গে ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ইচ্ছা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকাপাকিভাবে বিরোধ মিটিয়ে যুদ্ধ থামাতে, বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে একাধিক প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে। সেখানে একদিকে যেমন দেশের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির (International Security Guarantees) দাবি করা হয়েছে, তেমনই ন্যাটো(NATO)-র সদস্য হওয়ার ইচ্ছা পরিত্যাগের কথাও বলা হয়েছে।

তুরস্কের বৈঠকে কী কী প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন?

নিরাপত্তার গ্যারান্টি:

মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রথমেই ইউক্রেনের তরফে সুরক্ষার আইনি গ্যারান্টির দাবি করা হয়েছে। ন্যাটোর সমান বা তার থেকেও ভাল নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে পশ্চিমী দেশগুলি, তাও আবার আইনি নথিতে, এমনটাই দাবি করেছে ইউক্রেন। বৈঠক শেষের পর ইউক্রেনের প্রতিনিধি ডেভিড আরাখামিয়া বলেন, “আমরা চাই আন্তর্জাতিক সুরক্ষার গ্যারান্টি দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হোক, যা ন্যাটোর মতোই বা তার থেকেও ভাল কাজ করবে।”

উল্লেখ্য, ন্যাটোর চুক্তির ৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, চুক্তিবদ্ধ কোনও দেশের উপর হামলা হলে, বাকি সদস্য দেশগুলি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। ইউক্রেনের তরফে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার যে আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয়েছিল, তার অন্যতম কারণ ছিল এই সুরক্ষার গ্যারান্টি। মঙ্গলবারের বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার গ্যারান্টার হিসাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নাম সুপারিশ করা হচ্ছে। এছাড়া কানাডা,জার্মানি, ইজরায়েল, ইটালি, পোল্যান্ড ও তুরস্ককেও পাশে চেয়েছে ইউক্রেন। চিন ও ইজরায়েল ছাড়া বাকি সবকটি দেশই ন্যাটোর সদস্য।

ন্যাটো নয়, নিরপেক্ষ থাকবে ইউক্রেন:

ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়া নিয়েই বিরোধ শুরু হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের। তবে যুদ্ধে ন্যাটোর তরফে বিশেষ সাহায্য না পাওয়ায়, সদস্য হওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছে ইউক্রেন। একথা একাধিকবার জানিয়েওছেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি। মঙ্গলবারও ফের একবার ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়, যদি নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হয় তবে ইউক্রেন তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আশা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করবে।

কোনও বিদেশি সামরিক ঘাঁটি নয়:

যদি ইউক্রেনকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হয়, তবে তারা বিদেশি মাটিতে কোনও সামরিক ঘাঁটি তৈরি করবে না বলেই জানানো হয়েছে। যারা নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে, সেই সমস্ত দেশ ইউক্রেনে সামরিক মহড়াও চালাতে পারবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদ:

কিয়েভের তরফে বৈঠকে ফের একবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এই সদস্যপদ অর্জন করতে গ্যারান্টার হিসাবে উল্লেখিত দেশগুলি যাতে ইউক্রেনের নাম উল্লেখ করে, সেই কথাও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Imran Khan: কালাজাদুও কাজ করছে না, গদি বাঁচাতে এবার ‘অন্য চাল’ ইমরানের!