লাহোর: যেকোনও মুহূর্তেই গ্রেফতার হতে পারেন ইমরান খান(Imran Khan)। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তোশাখানা মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরই রবিবার ইমরান খানের লাহোরের (Lahore) বাড়িতে হাজির হয় পাক পুলিশ (Police)। কিন্তু গ্রেফতারি তো দূর, বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও ইমরান খানের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া গেল না। জানা গিয়েছে, শুধু লাহোরেই নয়, ইসলামাবাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েও পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, গ্রেফতারি এড়াতেই তিনি দেশের কোথাও গা ঢাকা দিয়েছেন।
একদিকে যেখানে ইমরান খান নির্ধারিত সময়ের আগেই সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন, সেখানেই পাকিস্তান পুলিশ তাঁকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না বলেই জানিয়েছে। আদালতের নির্দেশেই রবিবার ইমরান খানের লাহোরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেখানে দেখা মেলেনি ইমরান খানের। তবে হাজার হাজার পিটিআই সমর্থকরা ঘিরে রেখেছিল ইমরান খানের বাড়ি।
ইসলামাবাদ পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, “ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ অফিসারদের একটি দল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাহোরে যায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে। কিন্তু ইমরান খান আত্নসমর্পণে নারাজ। পুলিশের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তাঁর ঘরে যান, কিন্তু সেখানে তাঁর উপস্থিতি পাওয়া মেলেনি।”
এদিকে, রবিবার বিকেলেই লাহোরের জ়ামান পার্কের বাড়ি থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান। সেই সময় বাইরেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। ইমরান খান বলেন, “মিথ্যা মামলায় আমায় বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে। গোটা দেশের এই বিষয়ে জানা উচিত। যদি দুর্নীতি পরায়ণ নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো না হয়, তবে দেশের জন্য তা খুব খারাপ হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান খান যে দামি দামি উপহার পেয়েছিলেন, তা পরবর্তী সময়ে চড়া দামে বিক্রি করে দেন। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনও প্রাপ্ত উপহারেরই হিসাব দিতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট দাম অবধিই উপহার রাখতে পারেন মন্ত্রী-আধিকারিকরা। তোশাখানা মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ইমরান খানের। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়াতেই আদালতের তরফে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়।