Pakistan: ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা লাফিয়ে বাড়ছে! বাধ্য হয়ে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা প্রশাসনের
Physical Assault Case: তারার জানিয়েছেন, যে কটি যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তাতে প্রধান অভিযুক্ত সকলকেই আটক করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশসনের পক্ষ থেকে ধর্ষণ-বিরোধী প্রচার অভিযানও শুরু করা হয়েছে।
লাহোর: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! ভারতের প্রতিবেশী দেশের পঞ্জাব প্রদেশে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যা শুনে লজ্জা পাবে গোটা মনুষ্য জাতি। সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পঞ্জাব প্রদেশের প্রশাসন মহিলা ও শিশুদের ওপর বাড়তে থাকা যৌন অপরাধ রোধে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে ধর্ষণের ঘটনা এতটাই বাড়ছে, যে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে প্রশাসন। পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আট্টা তারার রবিবার জানিয়েছেন, “এমনভাবে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, যে বাধ্য হয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।” মন্ত্রী জানিয়েছেন, হঠাৎ করে শিশু ও মহিলাদের সঙ্গে যৌন হেনস্থা ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং সেই কারণেই সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় এক সংবাদপত্রকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের সদর দফতরে বসে প্রাদেশিক মন্ত্রী জানিয়েছেন, “পঞ্জাবে প্রত্যেকদিন চার থেকে পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, সেই কারণে যৌন হেনস্থা ঠেকাতে এবং মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আইনমন্ত্রী মালিক মহম্মদ আহমেদ খানকে পাশে বসিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণ নিয়ে তৈরি হওয়া ক্যাবিনেট কমিটি যৌন হেনস্থার যাবতীয় মামলাগুলি খতিয়ে দেখবে, পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলায় বিষয়ে তারা যাচাই করে দেখবে। পরবর্তীকালে নাগরিক সমাজ, মহিলা অধিকার রক্ষা সংগঠন, শিক্ষক এবং আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিশুদের অভিভাবকদের কাছে তারারের আবেদন, কোনওভাবেই যেন সন্তানকে বাড়িতে একা রেখে না যাওয়া হয়।
তারার জানিয়েছেন, যে কটি যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তাতে প্রধান অভিযুক্ত সকলকেই আটক করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশসনের পক্ষ থেকে ধর্ষণ-বিরোধী প্রচার অভিযানও শুরু করা হয়েছে। স্কুলে শিক্ষার্থীদেক যৌন হেনস্থার বোঝার পাঠ পড়ানোর কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের ফরেন্সিক সায়েন্স এজেন্সিকে আরও বেশি উন্নত করা হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মাদক নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, সেই কারণেই একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটছে।