Castle: রাজা হতে পারেন, থাকতে পারেন প্রাসাদেও, শুধু যেতে হবে এইখানে
Castle: এই প্রাসাদটি জাপানের এহিম প্রদেশের ওজু শহরের। যার নাম ওজু ক্যাসল। এই দুর্গটি কাঠের তৈরি হলেও এটি খুবই সুন্দর। সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন। চারতলা প্রাসাদে রাত কাটান। এবং রাজার মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।
জাপান: রাজার মতো জীবনযাপনের কথা কে না ভাবে। যাঁরা প্রাসাদে বসবাস করেন তাঁরা সব আরাম ও বিলাসিতা পান। তবে সবার ভাগ্যে এমনটা হয় না। তবে হ্যাঁ, যাঁদের প্রচুর অর্থ আছে,তাঁরা বিলাসিতায় জীবনযাপন করেন। কিন্তু যাঁদের কাছে তা নেই, তাঁরা কেবল স্বপ্ন দেখেন, যদি তাঁদের জীবনটাও এমন হত। তবে চিন্তা নেই আপনিও যদি এমন স্বপ্ন দেখেন তাহলে খুব বেশি ভাবার দরকার নেই। আপনি সরাসরি জাপানে যান,সেখানে একটি প্রাসাদ রয়েছে। আপনি চাইলে সেখানে গিয়ে রাজা হতে পারেন। কিন্তু এখানে থাকতে হলে আপনাকে কিন্তু অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এই প্রাসাদটি জাপানের এহিম প্রদেশের ওজু শহরের। যার নাম ওজু ক্যাসল। এই দুর্গটি কাঠের তৈরি হলেও এটি খুবই সুন্দর। সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন। চারতলা প্রাসাদে রাত কাটান। এবং রাজার মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। আপনি চাইলে এই রাজপ্রাসাদের রাজা হয়ে তার মতো খেতে ও ঘুমাতেও পারেন। কথিত আছে, এই প্রাসাদে ওজুর শেষ রাজা কাতো ডাইমিয়োসের শেষবার থেকেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ষোড়শ শতাব্দীতে ওজুর রাজা যেমন এই প্রাসাদে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, তেমনি অতিথিরাও এখানে থাকার সুযোগ পান। তবে এটি সেই যুগের দুর্গ নয়, কারণ আসল ওজু দুর্গটি ১৮৮৮ সালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে ১৯৯০ এর দশকে দুর্গটি পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও এই প্রাসাদটি কাঠের তৈরি। কথিত আছে, প্রসাদে থাকার জন্য এক রাতের ভাড়া প্রায় ৮ লক্ষ টাকা।
এই রাজপ্রাসাদে আগত অতিথিদের স্বাগত জানানো হয় বিশেষভাবে। প্রথমে ওজুর ঐতিহ্যবাহী ধ্বনি বাজানো হয়। এরপর অতিথিকে রাজার পোশাক পরানো হয়। তারপর সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা কিছু লোক অতিথিদের প্রাসাদের ভিতরে নিয়ে যায়, যেখানে তাদের সামনে একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য উপস্থাপন করা হয়। এরপর রয়েছে রাজকীয় নৈশভোজ। শুধু তাই নয়, নৈশভোজের সময় কবিতা-আবৃত্তির পাশাপাশি গানও বাজানো হয়ে থাকে। সামগ্রিকভাবে,এখানে থাকা অতিথিদের রাজাদের অনুভূতি দেওয়া হয়।